রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণের সময় বেড়ে হল ৩১ জানুয়ারি
রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণের শেষদিন ছিল ৩১ ডিসেম্বর। সেই দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে আড়াই কোটিরও বেশি রেশন গ্রাহক এই সংযুক্তিকরণ এখনও করে উঠতে পারেনি। তাই এই সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এইসব গ্রাহকদের রেশন তুলতে সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। আধার সংযুক্তিকরণের কাজে অনেকটাই পিছিয়ে কলকাতা, মালদহ, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলা। কেন এখনও এত সংখ্যক মানুষের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্ত করা হয়নি? জেলা আধিকারিকদের এনিয়ে একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। কারও দাবি, মানুষের সদিচ্ছার অভাব, আবার কেউ বলছেন, আধার সংযুক্তিকরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রচুর ভুয়ো কার্ড বাতিল হয়েছে। একেকজনের একাধিক কার্ড রয়েছে, তাই কিছু ক্ষেত্রে সংযুক্তিকরণ করা সম্ভব হয়নি।
রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রেশন গ্রাহকের সংখ্যা সর্বাধিক। আধার সংযোগের কাজ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল এখানে। তবুও সময়সীমা শেষে দেখা গিয়েছে, প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষের রেশন কার্ড ও আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ করা বাকি। বড় জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই কাজ বেশি বাকি। অন্যদিকে, শতাংশের হিসেব করলে মালদহ জেলায় এখনও ৩৬ শতাংশ গ্রাহক রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর সংযোগের কাজ করে উঠতে পারেননি। তবে সবচেয়ে ভালো জায়গায় রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এবং কালিম্পং। এই তিন জেলায় এখন মাত্র কুড়ি শতাংশ গ্রাহকের আধার সংযুক্তিকরণের কাজ বাকি আছে। প্রসঙ্গত, সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে ১০ কোটিরও বেশি মানুষের রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে সিংহভাগেরই আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ কেন ঝুলে রইল, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আধার সংযুক্তিকরণের জন্য একাধিক পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রেশন ডিলারের কাছে গিয়ে যেমন এই কাজ করার সুবিধা ছিল, তেমনই কেউ চাইলে যে কোনও বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়েও তা যুক্ত করতে পারতেন। এছাড়াও বাড়ি বসে মোবাইলের সাহায্যে রেশন কার্ড ও আধার সংযুক্তিকরণের সুবিধা চালু করেছিল খাদ্যদপ্তর। কিন্তু দিনের শেষে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনওভাবে এই পরিষেবা নিয়ে উঠতে পারেননি।