করোনা আতঙ্কের জের! পর্যটকশূণ্য পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল
দেশে সংক্রমণের নিরিখে এদিন সাত নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার নতুন করে এ রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজারেরও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সাধারণ মানুষকে। সব ঠিকঠাক থাকলেও অনেকেই বাতিল করেছেন বেড়ানোর পরিকল্পনা। অনেকে আবার ছুটির মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছেন। বর্ষবরণের সময়ও যেখানে থিকথিকে ভিড় ছিল, সেই পাহাড় থেকে সমতলে আজ শুধুই শূন্যতা।
বর্ষশেষে দার্জিলিং হোক বা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, নয়তো পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট— সর্বত্র ছিল ছিল পর্যটকের ভিড়। এবার রাজ্য সরকার কোভিড ঠেকাতে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। তাই বেড়াতে গিয়েও আর লাভ নেই। পর্যটকদের ঘরে বসেই দিন কাটাতে হচ্ছে। অগত্যা চলতি সপ্তাহ থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে দার্জিলিং থেকে দীঘা। এর মধ্যে আবার দার্জিলিংয়ে সাত পর্যটকের কোভিড ধরা পড়েছে। তার পরই আতঙ্ক বাড়ল।
রাজ্যের নির্দেশ মেনে বিষ্ণুপুরের সব মন্দির বন্ধ। ফলে পর্যটন ব্যবসা সেখানে দয়ে পড়েছে। পর্যটকরা হোটেলে বুকিং বাতিল করেছেন। এর ফলে বিপাকে ট্যুরিস্ট গাইড এবং হোটেল ব্যবসায়ীরা। এক হোটেল মালিক জানালেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের মুরসুম সেখানে। ওই ক’মাসের রোজগারেই বছরের বাকি মাস সংসার চলে তাঁদের। এবার কোভিডের কারণে সেই ব্যবসাই বন্ধ হল। ফলে পেটে টান পড়ল বহু মানুষের।
একই অবস্থা পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোট। রিজর্টগুলো ৩ জানুয়ারি থেকে বুকিং বাতিল করেছে। পুলিশ পর্যটকদের ফিরিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বিপর্যস্ত পর্যটন ব্যবসা। ভাড়ায় গাড়ি দেন এক ব্যক্তি জানালেন, পরিবারের মুখে ভাত জোগানোই এখন মুশকিল তাঁদের। এভাবে চললে আত্মহত্যা করতে হবে বলেও জানালেন। তাঁদের আবেদন, রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।