করোনা আক্রান্তদের আরোগ্য কামনায় বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা সঙ্গে ‘উপহার’ ফলের ঝুড়ি
দ্রুত আরোগ্য কামনা করে করোনা আক্রান্তদের বার্তা পাঠাচ্ছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বার্তা লেখা কার্ডের সঙ্গে রোগীদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ফলের ঝুড়ি। তাতে থাকছে আপেল, কমলালেবু, আঙুর থেকে শুরু করে নানা ফল। করোনা সংক্রামিতদের দ্রুত সেরে ওঠার জন্য বিভিন্ন ফল খাওয়ার উপরে জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরাও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আরোগ্য কামনার বার্তার সঙ্গে এই ‘উপহার’ পাঠানোর এই অভিনব ব্যবস্থা করেছে সরকার। কলকাতায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা ও ফলের ঝুড়ি পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। জেলায় জেলায় এই কাজ শুরু করার জন্য জেলাশাসকদের কাছে নির্দেশ চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে রীতিমতো অভিভূত করোনা আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। কোনও পরিবারে একাধিক সদস্য আক্রান্ত হলে অবশ্য আলাদা করে সবার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পাঠানো হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে পরিবার পিছু একটি করে তা পাঠানো হচ্ছে।
কীভাবে হচ্ছে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ? নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে এই কাজ করা হচ্ছে পুরসভার মাধ্যমে। কোন আবাসন বা কোন এলাকায় কতজন আক্রান্ত, সেই হিসেব সংগ্রহ করছেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা। তাঁদের মাধ্যমেই আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা। আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঠিকানা সহ তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সাংবাদিক সহ সংস্কৃতি জগতের লোকজনের তালিকা বানাচ্ছে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। হচ্ছে আক্রান্ত পুলিসকর্মীদের তালিকাও। এর জন্য মেছুয়া ফলপট্টিতে প্রায় ১০ হাজার ফল ভর্তি ঝুড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত চার হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছবে এই বার্তা ও ফলের ঝুড়ি। সেই মতো প্রস্তুতিও সারা।
কলকাতা পুরসভা ও নবান্ন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শহরের বস্তি এলাকার গরিব মানুষ, রেড লাইট এরিয়া এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মধ্যে যাঁরা আক্রান্ত, তাঁদের কাছেও পৌঁছে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা। সেই বার্তার সঙ্গে দেওয়া হবে চাল, ডাল, তেল, ম্যাগি, বিস্কুটের একটি প্যাকেট। যা এই সঙ্কটের সময় তাঁদের অনেকটাই কাজে লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকরা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই উদ্যোগের বিষয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সবসময় এভাবেই মানুষের প্রতি তাঁর সহানুভূতি, সহমর্মিতা প্রকাশ করে থাকেন। তাঁর নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে।