দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭৫ বছর করার পথে সিপিএম
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭৫ বছর করার পথে হাঁটছে সিপিএম। হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এই ইস্যুতে সিলমোহর পড়তে চলেছে। এমনই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রে। শুক্রবার থেকে হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে সিপিএমের তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। চলবে আজ, রবিবার পর্যন্ত। দলীয় সূত্রের খবর, শনিবার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকেই বয়সসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশোধনী আনার ব্যাপারে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে দলে। যদিও এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে আগামী এপ্রিল মাসে কেরলে সিপিএমের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে কি পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়তে চলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু?
দলের অন্দরের খবর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের কাকে রাখা হবে, আর কাকেই বা বাদ দেওয়া হবে তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে পার্টি কংগ্রেসে এই বিষয়টিতে যাতে ‘ব্যতিক্রম’-এর বন্দোবস্ত রাখা যায়, সেই ব্যাপারে মত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের বড় অংশ। অন্যদিকে, শনিবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে কার্যত তুলকালাম হয়েছে। কোনওমতেই কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করা যাবে না। এই অবস্থানে অনড় থেকেই এদিন সুর চড়িয়েছে সিপিএমের তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং কেরল ব্রিগেড।
শুধু তাই নয়। কট্টরপন্থী কেরল লবি দাবি করেছে, কংগ্রেস প্রশ্নে তাদের আপত্তির কারণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে সিপিএমের খসড়া রাজনৈতিক দলিলে। এই আপত্তির কারণ নিয়ে আসন্ন পার্টি কংগ্রেসে নির্দিষ্ট মর্মে আলোচনাও করতে হবে। পার্টি কংগ্রেসে যে দলীয় কৌশলগত রাজনৈতিক লাইন গৃহীত হবে, তারই খসড়া চূড়ান্ত করতে হায়দরাবাদের এই বৈঠক সিপিএম নেতৃত্বের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সূত্রের খবর, তিনদিনের এই বৈঠকেও খসড়া দলিল চূড়ান্ত নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষে নজিরবিহীনভাবে ফের একবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসতে পারেন সিপিএম নেতারা।