করোনা আবহে সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হল ‘সেট’, ফল তিন মাসের মধ্যে
করোনা আবহে রবিবার হয়ে গেল কলেজ সার্ভিস কমিশন আগেই জানিয়েছিল স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সেট (SET)। অধ্যাপক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৮৩ হাজার চাকরি প্রার্থী। কোভিড বিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাপর্ব মেটানোই ছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশি হবে। ওয়েবসাইটে দ্রুত আপলোড হবে ‘অ্যানসার কি’
করোনা আবহে বড় চ্যালেঞ্জ
করোনার আবহে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা যেখানে এত দিন পর খুলেও ফের বন্ধ করতে হল, সেখানে অফলাইনে সেট-এর আয়োজন নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের কাছে। একইরকম চ্যালেঞ্জ ছিল প্রত্যেকটি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্যও। এতজন ছাত্র-ছাত্রী, আলাদা আইসোলেশন রুম, সেই ঘরে যিনি গার্ড দেবেন তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা— সবকিছু করে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ। কলেজ সার্ভিস কমিশনের দেওয়া কোভিড বিধি সম্পূর্ণ মেনে পরীক্ষা নিতে হয়েছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী এবার SET দিল
এ প্রসঙ্গে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর বলেন, “২৩টি জেলায় কলকাতা-সহ ৬৭টি মহকুমায় ১৮৯টি কেন্দ্রে ৮৩ হাজার প্রার্থী পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। খুব ভাল উপস্থিতি দেখা গেল। সাধারণত দুই তৃতীয়াংশ উপস্থিতি দেখা যায়। এবার রিপোর্ট পেলাম ৮৬ শতাংশের উপস্থিতি ছিল। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এদিন পরীক্ষা দিলেন সকলকে আমি অভিনন্দন জানাব। এই কোভিড আবহে তাঁরা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আগামীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এদিন উপস্থিত থেকেছেন।”
সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ কমিশনের চেয়ারম্যানের
এদিন সেট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। দীপক করের কথায়, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী-সহ সমস্ত আধিকারিক, সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশসুপার, স্থানীয় থানাগুলি, সার্বিকভাবে সরকারি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষাজগতের সকলে, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সেলার, রেজিস্ট্রার প্রত্যেকে এই পরীক্ষাকে সফল করে তুলতে যেভাবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন সত্যিই প্রশংসনীয়। ইউজিসি থেকে বিভিন্ন রাজ্যের ২৫ জন শিক্ষাজগতের মানুষ এসেছেন। সেট রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের। জাতীয় স্তরে যে নেট হয় তার সমতুল এই পরীক্ষা।”
গোটা প্রক্রিয়া শেষ হবে তিন মাস সময় লাগবে
দীপক করের কথায়, “এটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল। আমরা কোভিডবিধি সম্পূর্ণরূপে পালন করে পরীক্ষাটা নিয়েছি। সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকা সমস্ত কিছু বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এদিন যেভাবে সহযোগিতা করলেন ব্যক্তিগতভাবে আমি কৃতজ্ঞ।” কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, পরীক্ষার পর গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন মাস সময় লাগবে। দু’মাসের মধ্যে কলেজ সার্ভিস কমিশন তাদের কাজ শেষ করবে। এরপর বাকি প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও এক মাস সময় লাগবে বলে জানান দীপক কর।