গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ই-স্নানের ব্যাপক চাহিদা, ইতিমধ্যেই ৬০ হাজারের বেশি অর্ডার
করোনা আবহে একসঙ্গে হাজার হাজার পুণ্যার্থী যাতে জলে ডুব না দেন, তার জন্য ই-স্নানের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। আর তাতে ভালোই সাড়া মিলেছে এবার। জেলার তথ্য অনুযায়ী, দু’সপ্তাহেই ৬০ হাজারের বেশি ই-স্নানের কিট বুকিং হয়ে গিয়েছে অনলাইনে। এর মধ্যে বেশকিছু অর্ডার বিদেশ থেকেও এসেছে। বাড়ছে ই-পুজোরও চাহিদা। জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
এদিকে সোমবার সূচনা হল এবারের গঙ্গাসাগর মেলার। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এবং জেলাশাসক পি উলগানাথনের হাত ধরে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
২৩ ডিসেম্বর থেকে ই-স্নানের বুকিং চালু করা হয়। এবারের এই কিটে প্রসাদ, জল, সিঁদুর ছাড়াও গঙ্গামাটি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এবং জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মানুষকে ই-স্নানের প্রতি উৎসাহ দিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতবছর এই প্রকল্পের ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সংক্রান্তির বাকি এখনও চারদিন। ফলে অনলাইনেই এক লক্ষের বেশি বুকিং হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
এদিকে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সূচনা হল এবারের গঙ্গাসাগর মেলার। মন্ত্রী, জেলাশাসক ছাড়াও ছিলেন ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর কর্তা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তারা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং এক হাজার বেলুন উড়িয়ে এই বৃহৎ মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলাশাসক বলেন, অন্যান্য বছরের মেলার তুলনায় এবারের গঙ্গাসাগর অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে। কিছু নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবেই এবারের মেলা পরিচালিত হবে। আশাবাদী মন্ত্রীও।
এদিনের অনুষ্ঠানে গঙ্গাসাগর নিয়ে একটি বিশেষ গানের সূচনা হয়। বিশেষ সৌন্দর্যায়ন এবং আলোকসজ্জার উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর কপিলমুনি মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকা বাহারি আলোয় ভেসে গিয়েছে। পুণ্যার্থীদের জন্য রয়েছে লেজার শোয়ের ব্যবস্থাও। তবে গত কিছুদিন যে পরিমাণ ভিড় দেখা গিয়েছিল, এদিন তার থেকে কমই ছিল। বিভিন্ন প্রবেশপথে নিযুক্ত আধিকারিকরা বলেন, গতবার এই সময়ে বেশি লোকজন আসেনি। প্রবণতা এবারও কিছুটা সেইরকম। তবে আগামী দু-তিন দিনে ভিড় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করছেন তাঁরা। এদিকে, মেলার জন্য ১৮ জন চিকিৎসকের বিশেষ দল গঠন করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। পুণ্যার্থীদের সাগর মেলায় প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁদের রাখা হবে।