কাজে লাগছে না করোনা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ, নিতে হবে তৃতীয় ডোজও, বলছে খোদ প্রস্তুতকারক সংস্থা
যত দিন যাচ্ছে একদিকে শক্তি বাড়ছে করোনার, অন্য দিকে বাড়ছে টিকার সংখ্যাও। দু’টি ডোজ নিলেই করোনা থেকে অনেকখানি নিরাপদ হওয়া যাবে— এমনই শোনা গিয়েছিল প্রথমে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধারণা বদলেছে। এখন অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু এর পরে কী? প্রতি বছর কি একটু একটু করে বাড়তে থাকবে করোনা টিকার ডোজের সংখ্যা?
এমনই প্রশ্ন উস্কে দিল টিকা-নির্মাণকারী সংস্থার প্রধানের কথা। হালে ফাইজার কোম্পানির সিইও অ্যালবার্ট বুরলা এমনই দাবি করেছেন আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের কাছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দুটো ডোজ তেমন ভাবে কাজে লাগছে না।
‘ওমিক্রনের জন্য দুটো ডোজ যথেষ্ট নয়। তৃতীয় ডোজটা নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে তৃতীয় ডোজ নিলে।’ বলেছেন তিনি।
কেন এমন দাবি তাঁর?
বুরলার মতে, ওমিক্রন খুব ঝামেলার একটা ভ্যারিয়েন্ট। বহু মিউটেশন হয়েছে করোনার। তার পরেই তৈরি হয়েছে এই ওমিক্রন। ফলে ফাইজারের তরফে আগে যে টিকা বানানো হয়েছে, তা ওমিক্রনের সঙ্গে লড়াই করতে পারছে না। দ্বিতীয় ডোজের পরেও ওমিক্রনের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বিশেষ পাওয়া যাচ্ছে না, এমন প্রমাণ নাকি তাঁদের হাতে রয়েছে।
ইংল্যান্ডের পরিসংখ্যানও বলছে, ফাইজার এবং মডার্নার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও ওমিক্রনের থেকে মাত্র ১০ শতাংশ নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে তৃতীয় ডোজ নিলে ৭৫ শতাংশ নিশ্চিত হচ্ছে নিরাপত্তা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনও ৮৮ শতাংশ কমেছে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পরে।
তাহলে কি এবার তৃতীয় ডোজ নিলেই শান্তি?
না, বুরলা বলছেন, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। আপাতত নিরাপত্তার জন্য তৃতীয় ডোজ নিতে হবে। পরে দরকারে বাড়বে আরও ডোজের সংখ্যা।