ফের বাঘের হানা সুন্দরবনের গোসাবায়, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ফের বাঘের হানা সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বালি আমলামেথি এলাকায়। সোমবার রাতে বিদ্যার জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঢুকে পড়ে ওই এলাকায়। এলাকায় ঢোকার পর রাতে তিনটি ছাগল, একটি গরু মারে। হাবুল দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই গরু এবং ছাগল মারে। তারপর বাঘটি লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
বাঘটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। বাঘটির খোঁজ পাওয়া না-গেলেও ওই জঙ্গলের মধ্যে বাঘ যে লুকিয়ে আছে, তা টের পেয়েছেন বনকর্মীরা। এলাকাটি জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা চলছে। তবে কুয়াশা থাকার কারণে কিছুটা হলেও বাঘ খোঁজার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি গোসাবার পরশমণি গ্রামের চরঘেরি এলাকায় বাঘের আক্রমণে জখম হন এক বনকর্মী। সেখানে পাওয়া যায় বাঘের পায়ের ছাপও। বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়েই জখম হন ওই বনকর্মী। সকালে এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে বন দফতরে খবর দেন স্থানীয়রা।
বন দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, আগের রাতে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল থেকে বাঘটি লোকালয়ে চলে আসে। বাঘটি সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর মিত্রবাড়ি এলাকায় ছিল বলে জানতে পেরে তল্লাশিতে নামেন বনকর্মীরা। তল্লাশির সময় অতর্কিতে হামলা চালায় বাঘটি।
তারও আগে ৬ দিন ধরে দক্ষিণরায়ের আতঙ্কে ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিলেন কুলতলির মানুষ৷ বাঘ ধরতে জাল বিছিয়েছিলেন বনকর্মীরা৷ লাগাতর তল্লাশি চলে। টোপ দিয়ে বাঘ ধরতে পাতা হয় তিনটি খাঁচাও৷ শেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাঘটিকে কাবু করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় গভীর জঙ্গলে।