করোনা রুখতে আরও কড়া বিধিনিষেধের পথে রাজ্য! বন্ধ হতে পারে শপিং মল
ক্রমশ রাজ্যজুড়ে চওড়া হচ্ছে করোনার (Corona Virus) থাবা। বিধিনিষেধের মাঝেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। যার ফলে বিধিনিষেধ আরও কড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যদিও এবিষয়ে রাজ্যের তরফে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
গত ২০২০, ২০২১ সালের পর ২০২২-এও রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছে মারণ ভাইরাস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি ও বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিকে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ট্রেনের সময় ও যাত্রী সংখ্যাও। শপিং মল, রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। খাস কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাগে আসছে না করোনা ভাইরাস। সেই কারণেই এবার তৃণমূল সরকার আরও কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, কিছুদিনের জন্য সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে শপিং মল। এছাড়াও একাধিক ক্ষেত্রে জারি হতে পারে কড়া নিষেধাজ্ঞা। তবে এবিষয়ে এখনও রাজ্যের তরফে কিছু জানানো হয়নি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই রাজ্যের পরবর্তী পদক্ষেপ স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।বিধিনিষেধ আরও কড়া হলে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
তবে শুধু বাংলা নয়, দেশ জুড়েই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩ মানুষ। যার ফলে বর্তমানে দেশে মোট সংক্রমিত বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৯০। পটিজিভিটি রেট ১০.৬৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে পাঁচ রাজ্য। সেই তালিকায় মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গের মতোই রয়েছে দিল্লি। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১৯,১৬৬ জন।
সেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করেছে দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার সরকারের তরফে সমস্ত বেসরকারি অফিস ও রেস্তরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে মিলবে হোম ডেলিভারির সুবিধা। এতদিন পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালানো হচ্ছিল অফিস ও রেস্তরাঁ।