মুসলিম মেয়েদের অসম্মানের উদ্দেশ্যেই কোড ছড়িয়েছিল সুল্লি ডিলসের মাস্টারমাইন্ড
সম্প্রতি মুধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুল্লি ডিলস অ্যাপের নির্মাতাকে। জানা গিয়েছে, বুল্লি বাই অ্যাপের মাস্টারমাইন্ড নীরজ বিষ্ণোইয়ের বয়ানের থেকে সূত্র খূঁজে পেয়েই ওমকারেশ্বর ঠাকুরকে ধরে পুলিশ। জেরা করে জানা গিয়েছে, ওমকারেশ্বর ঠাকুরই সুল্লি ডিলসের কোড ছড়িয়ে দিয়েছিল। এই বিষয়ে দিল্লির সাইবার ক্রাইম সেলের প্রধান তথা দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কেপিএস মালহোত্রা বলেন, ‘ওমকারেশ্বর এই কোডটি তৈরি করেছিল এবং পরে এর অ্যাক্সেস গ্রুপের সমস্ত সদস্যের কাছে ছিল। সে তার টুইটার অ্যাকাউন্টে অ্যাপটি শেয়ার করে। সেখানেই মুসলিম নারীদের ছবি আপলোড করেছে গ্রুপের সদস্যরা।’
জানা গিয়েছে সুল্লি ডিলস কাণ্ডে ধৃত ওমকারেশ্বরের বয়স ২৬। টুইটারে সে ট্রাড নামক একটি গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য মুসলিম মহিলাদের অপমানিত করা। ২০২০ সালে @gangescion নামক টুইটার হ্যান্ডল ব্যবহার করে সেই গ্রুপে যোগ দেয় ওমকারেশ্বর। এরপর গিটহাবে সে সুল্লি ডিলস নামক অ্যাপটি ডেভেলপ করে। এরপর সুল্লি ডিলস নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে ওমকারেশ্বর তার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ফুটপ্রিন্ট মুছে ফেলে। আরও তথ্য জানতে ওমকারেশ্বরকে জেরা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বুল্লি বাই অ্যাপ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দিল্লির এক মহিলা সাংবাদিক এই অ্যাপ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি সামনে আসে। অ্যাপটিতে সাংবাদিকের সম্মতি ছাড়াই তাঁর বিকৃত ছবি আপলোড করা হয়েছিল। বুল্লি বাই অ্যাপে আদতে মুসলিম মহিলাদের টার্গেট করা হত। এক ভার্চুয়াল নিলামে তাঁদের ছবি রাখা হত। এরপরই এই অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ময়দানে নামে। অসম থেকে গ্রেফতার করা হয় এই অ্যাপের মাস্টারমাইন্ড নীরজ বিষ্ণোইকে। এই কাণ্ডে আরও তিনজকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। আর নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওমকারেশ্বরের খোঁজ পায় পুলিশ।