মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনার বাস্তবায়ন, কাশফুলের বালাপোশ তৈরি করল উলুবেড়িয়া চেম্বার অব কমার্স
আমার একটা আইডিয়া আছে, বাংলায় যে কাশফুল হয়, তা দিয়ে বালিশ বা বালাপোশ তৈরি হতে পারে। কাশফুলকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা দেখতে হবে। গত ১৮ নভেম্বর হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে কাশফুল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কাশফুলের বালাপোশ তৈরি করল উলুবেড়িয়া চেম্বার অব কমার্স। বণিকসভা সূত্রে খবর, শীঘ্রই কাশফুলের এই বালাপোশ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তারা তুলে দেবে। শারদোৎসবের আগে কাশফুলের সমারোহে ভরে ওঠে বাংলার চারদিক। এতদিন এই কাশফুলকে ঘর সাজানোর জিনিস হিসেবেই ব্যবহার করত সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পরেই এই কাশফুলকে এবার অন্যভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিল উলুবেড়িয়া চেম্বার অব কর্মাস।
বণিকসভা সূত্রে খবর, প্রথমে কাশফুল সংগ্রহ করে সেগুলি ডাঁটি থেকে আলাদা করার পর ফুলগুলি রোদে শুকানো হয়। তারপর বীজ আলাদা করে শুকনো ফুল দিয়ে বালাপোশ বানানোর আগে ধুনে নেওয়া হয়। একটি বালাপোশ তৈরি করতে দেড় কেজি কাশফুল লাগে। এ প্রসঙ্গে বণিকসভার সভাপতি তমাল ঘোষাল এবং সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনাকে সম্মান জানাতে আমরা কাশফুল দিয়ে বালাপোশ বানানোর উদ্যোগ নিয়েছি এবং সেটি তৈরিও হয়ে গিয়েছে। তাঁরা জানান, এটা নিয়ে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। কাশফুল দিয়ে বালিশ, বালাপোশ তৈরি ছাড়াও কুশন, ঠাকুরের আসন ছাড়াও সফট টয়েজ তৈরির ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে। তাঁরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের পর হাওড়ার জেলাশাসক এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেছেন। একটা ফুল দিয়ে যে এমন জিনিস হতে পারে, সেটা কেউ আগে ভাবেনি। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই সৃষ্টিশীল ভাবনা আগামী দিনে রাজ্যকে নতুন দিশা দেখাবে বলে অভিমত তাঁদের।
উলুবেড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের দুই আধিকারিকদের মতে, রাজ্যের নানা প্রান্তে এমন অনেক জিনিস আছে, যেগুলি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা যেতে পারে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি যেমন হবে, তেমনই কর্মসংস্থান হবে।