টাকার বিনিময়ে টিকা! বিহারের সরকারি হাসপাতালে বড়সড় দুর্নীতি সামনে এল
বিহারে বড়সড় টিকা দুর্নীতি সামনে এল। সরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়া নিয়ে উত্তাল নীতীশ কুমারের রাজ্য। টাকার বিনিময়ে টিকা চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে উমেশ নামে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সদর হাসপাতালে সে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করে। হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ কোভ্যাকসিনকেই টাকার বিনিময়ে সে বাইরে বিক্রি করত। একটি সর্বভারতীয় বেসরকারি চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে উমেশের কীর্তি ফাঁস হয়েছে। ওই চ্যানেলের রিপোর্টার কোভ্যাকসিনের জন্য সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। কোভ্যকাসিনের সরবরাহ নেই বলে তাঁকে জানানো হয়। তবে টাকা দিলে তাঁকে টিকা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
প্রথমে কর্মীর থেকে হাজার টাকা নেওয়া হয়। সকাল ১০ টায় টিকাকরণ শুরু হলেও, তাঁকে ন’টায় আসতে বলা হয়। অন্যান্যদেরও টিকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে বৈশালীর ডেপুটি সুপার বলেন, ‘টাকা নিয়ে টিকা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিহারের ছোট শহরগুলিতে কোভ্যাকসিনের সরবরাহ বেশ কম। কিন্তু অনেকেই ভারত বায়োটেকের তৈরি এই টিকার উপর অতিরিক্ত আস্থা রাখছেন। ফলে চাহিদা বেড়েছে কোভ্যাকসিনের। এই সুযোগে বিহারে সরকারি হাসপাতাল থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ওই টিকা সরিয়ে চোরাবাজারে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু কর্মী। হাজিপুর, বৈশালীতে এই ধরনের চক্র সক্রিয়।