ফেসবুকে দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সচিবের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
বঙ্গ–বিজেপির পক্ষ থেকে সদ্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নালিশ ঠোকা হয়েছিল যে, দিলীপ ঘোষ দলের অন্দরে বিভাজন করছেন। আবার দিলীপ ঘোষই সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি পদে আছেন। পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করা দলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি করেছে। এই অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির ব্যক্তিগত সচিব দেব সাহার করা পোস্ট। দেব লিখেছেন, ‘সনাতনী হিন্দু ব্যাপারটা কী’ তা তিনি জানেন না। আর এই পোস্ট ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতরক।
কেন তৈরি হয়েছে বিতর্ক? এই সনাতনী হিন্দু কথাটি বারবার শোনা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। সেই কথাটি নিয়েই দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সচিবের পোস্ট। যা নিয়ে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। সেই কথাও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেব সাহা। তাতে আরও জলঘোলা হয়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন দেব? তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘কেউ একটু বোঝাবে, সনাতনী হিন্দুটা কী? লাস্ট ৬ মাস থেকে শুনছি! প্রায় একশো বছর আগে এরকম শোনা যেত।’ আজ স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন। আর সেদিনই এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে কী এবার শুভেন্দুকে নিশানা করা হচ্ছে? হাওড়া জেলা সভাপতি যে কথাগুলি বলে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন, সেই কথাগুলিকেই কী সিলমোহর দেওয়া হচ্ছে? উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মে ‘সনাতনী হিন্দু’ মতাদর্শ রয়েছে। যেখানে বেদ–উপনিষদ–গীতার মতো ধর্মগ্রন্থগুলির চর্চা যাঁরা চিরকাল করে আসছেন তাঁরাই সনাতনী হিন্দু নামে পরিচিতি লাভ করেন। সহজভাবে এটাই বলা যায়। কিন্তু তাহলে শুভেন্দুর কথা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? এখন বিজেপির অন্দরে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে একাধিক গোষ্ঠীতে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে দল। আর এই পোস্টে দিলীপ ঘোষের মদত রয়েছে বলেও বঙ্গ–বিজেপি নেতারা মনে করছেন।