কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

করোনা আতঙ্কে অনিশ্চত বইমেলা তবু লটারিতে স্টল বণ্টন আয়োজকদের

January 12, 2022 | 2 min read

কোভিডের (COVID-19) সংক্রমণের বর্তমান গ্রাফ দেখে নির্ধারিত দিনে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair) করার নিশ্চয়তা মিলছে না। কিন্তু নিশ্চয়তা না থাকলেও রয়েছে আশা। সেই আশাকেই সঙ্গী করে প্রস্তুতির যাবতীয় কাজ সেরে রাখছে আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। মঙ্গলবার শেষ হয়েছে লটারির মাধ্যমে বইমেলার ৬০০-র বেশি স্টল বণ্টনের কাজ। এরপর অপেক্ষা সরকারি নির্দেশিকার। তা মিললেই হাত লাগানো হবে বইমেলা প্রাঙ্গণ তৈরির কাজে। 

আগামী ৩১ জানুয়ারি সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হওয়ার কথা ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। যা চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম থেকেই করোনা বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করেছিল আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। মেলামাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্টলের মাপ। ১০০ বর্গফুটের স্টল ছোট করে ৬৭ বর্গফুট করা হয়েছে। ১৬০০ বর্গফুটের স্টলের মাপ কমিয়ে ১০৫০ বর্গফুট হয়েছে। এর ফলে মেলার মাঠে ফাঁকা জায়গার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ। তৈরি হয়ে গিয়েছে বইমেলার ম্যাপ। তারপরেই শুরু হয়েছিল লটারির মাধ্যমে স্টল বিলির কাজ। ভিড় এড়াতে একসঙ্গে নয়, দফায় দফায় চলে স্টল বণ্টন পর্ব। যার শেষ দফা ছিল মঙ্গলবার। শেষ লটারি পর্বে আড়াইশোর মতো স্টল বণ্টন করা হয়েছে বলে জানান গিল্ডের কর্তারা।

তবে, হলের মধ্যে ইংরাজি, হিন্দি-সহ অন্য ভাষা এবং ভিন রাজ্যের প্রকাশকদের স্টল বণ্টনের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাদেশের ৪১ জন প্রকাশক আসবেন। তাঁদের প্যাভেলিয়নের জন্যও আমরা অপেক্ষা করছি। এই ভয়ংকর কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের কোনও নির্দেশনামা না এলে আমরা মাঠের কাজে হাত দিতে পারছি না। তাই আমরা একটু অপেক্ষা করছি।”

মেলা প্রাঙ্গণ তৈরির কাজ ছাড়া কাগজে-কলমে বইমেলার প্রস্তুতির সব কাজই প্রায় সেরে ফেলা হয়েছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের অনেক কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। বইমেলায় ৯টা গেট হবে। কোন গেট কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে নিয়েও আলোচনা হয়ে গিয়েছে। ম্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। স্টল বণ্টনও হয়ে গেল। অফিশিয়াল কাজগুলো আমরা এগিয়ে নিয়ে চলেছি। মাঠের কাজ এখনও হয়নি। তবে, খাতাকলমের কাজগুলো আমরা সেরে রাখছি।” বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশিকা এলেই হাত দেওয়া হবে মাঠের কাজে। 

ত্রিদিববাবু জানিয়েছেন, হাতে ৭-১০ দিন সময় থাকতে সরকারি নির্দেশিকা এলেই মাঠের কাজ সেরে ফেলা সম্ভব হবে। সুধাংশুবাবু বলেন, “কীভাবে হবে, কবে থেকে, কী পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে নিশ্চয়ই সরকারিভাবে নির্দেশনামা আসবে। আমরা সেই আশাতেই আছি।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata Book Fair

আরো দেখুন