‘অভিষেকের বক্তব্যই দলের বক্তব্য’ পুরভোট নিয়ে ব্যক্তিগত মত প্রসঙ্গে মন্তব্য সৌগত রায়ের
আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার নির্বাচন হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাঁরা কি চায়। কারণ রাজ্যে করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা এবং পুরসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের সায় নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। এমন সময়ে আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে আগামী ২ মাস সব কিছু বন্ধ রাখা উচিত। নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’ এবার অভিষেকের ব্যক্তিগত মতকেই দলের মত বলে জানালেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। এই নিয়েই এখন আলোচনা চরমে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন সৌগত রায়? এদিন তিনি বলেন, ‘অভিষেকের বক্তব্যই দলের বক্তব্য। কিন্তু অভিষেকের বিবৃতির আগেই পুরসভার নির্বাচন এবং গঙ্গাসাগর মেলার দিন ঠিক হয়। ফলে অভিষেকের পরামর্শ হঠাৎ করে বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। এরপরে কোনও মন্তব্য করলে দলকে শুনতে হবে’। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে সরাসরি এভাবে সিলমোহর দেওয়ায় উঠেছে নানা প্রশ্ন।
আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার নির্বাচন হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাঁরা কি চায়। কারণ রাজ্যে করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা এবং পুরসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের সায় নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। এমন সময়ে আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে আগামী ২ মাস সব কিছু বন্ধ রাখা উচিত। নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’ এবার অভিষেকের ব্যক্তিগত মতকেই দলের মত বলে জানালেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। এই নিয়েই এখন আলোচনা চরমে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন সৌগত রায়? এদিন তিনি বলেন, ‘অভিষেকের বক্তব্যই দলের বক্তব্য। কিন্তু অভিষেকের বিবৃতির আগেই পুরসভার নির্বাচন এবং গঙ্গাসাগর মেলার দিন ঠিক হয়। ফলে অভিষেকের পরামর্শ হঠাৎ করে বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। এরপরে কোনও মন্তব্য করলে দলকে শুনতে হবে’। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে সরাসরি এভাবে সিলমোহর দেওয়ায় উঠেছে নানা প্রশ্ন
এতদিন বাদে সৌগত রায় এই কথা বললেন কেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায বলেছিলেন, পুণ্যার্থীদের আটকাব কিভাবে? এটা মানুষের মেলা। আপনারা তো কুম্ভমেলা নিয়ে কিছু বলেন না। এটা নিয়ে এত উৎসাহ দেখাচ্ছেন কেন? অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী এই মেলা করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সেখানে অভিষেকের ব্যক্তিগত মতকে সৌগত রায় সামনে নিয়ে আসায় রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে।
অন্যদিকে অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব বলার কোনও অর্থ হয় না। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু বলা না হলেও বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, ‘অভিষেকের বক্তব্যই দলের বক্তব্য। দেরিতে বলায় বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না।’ এখন দেখার রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোন পথে হাঁটে।