চন্দননগরে করোনা বিধি মেনে তৃণমূলের হয়ে অভিনব প্রচার বাইক ভোলার
কোভিড পরিস্থিতিতে (Bengal Coronavirus) একাধিক ব্যক্তি নিয়ে প্রচার করা যাবে না এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের(West Bengal Election Commission) তরফ থেকে। এর জেরে সীমিত কর্মী নিয়েই প্রচারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে অভিনব প্রচার কৌশল নিল শেখ সিকন্দর ওরফে ভোলা। চন্দননগর খলিসানি এলাকার বাসিন্দা শেখ সিকন্দর। যদিও স্থানীয় মানুষজন তাকে ভোলা নামেই চেনে। কট্টর এই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক নিজ উদ্যোগেই নেমে পড়েছেন ভোট প্রচারে।
সঙ্গী বলতে তার একটি মোটরবাইক। আর তার টুল বক্সেই তিনি (WB Election Campaign) একটা বক্স লাগিয়েছেন। সেই বক্স আবার নিজের ফোনের ব্লু-টুথ মারফত তিনি সংযোগ করে রেখেছেন৷ আর সেখানেই অবিরত তিনি বাজিয়ে চলেছেন, কখনও ‘খেলা হবে’, কখনও আবার মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতার নির্বাচিত অংশ। আর এভাবেই তিনি চরকি পাক দিচ্ছেন খলিসানি এলাকা জুড়েই। খলিসানি এলাকাতেই রয়েছে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড। যে ওয়ার্ড থেকে জিতে চন্দননগরের মেয়র হয়েছিলেন রাম চক্রবর্তী। এবারেও তিনি সেই ওয়ার্ড থেকেই জোড়া ফুলের প্রার্থী। আর সেই রাম চক্রবর্তীর হয়ে প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে ভোলা’কে।
ভোলা অবশ্য খুশি প্রচারে নেমে। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা যে এলাকায় থাকি, সেটি আগে ছিল পঞ্চায়েত এলাকা। এখন পুর এলাকা হয়ে গিয়েছে। এলাকায় এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারের উদ্যোগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে সরকার নানা প্রকল্প চলছে৷ সেই সব মানুষকে আমি জানাতে চাই। মানুষ যাতে আমাদের ভোট দেয় তাই এই ভাবেই প্রচার চালাচ্ছি।”
চন্দনগরে প্রচারে তৃণমূল সমর্থক ভোলা
সকাল থেকে সন্ধ্যা এভাবেই এলাকাজুড়ে একাই তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন ভোলা (TMC Election Campaign)। ভোলার কাজে খুশি প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে এখন। ও যেভাবে প্রচার করে চলছে। তবে ভোলার বাইক এখন রীতিমতো ভাইরাল। তাই বাকি ওয়ার্ড থেকেও ডাক পড়ছে বাইক ভোলার।