ময়নাগুড়িতে রেল দুর্ঘটনাস্থলে অন্ধকারেও চলছে উদ্ধারকাজ, আনা হয়েছে ড্র্যাগন লাইট
বিকেল গড়িয়ে অন্ধকার নেমে এসেছে৷ জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে চলছে উদ্ধারকাজ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচটা নাগাদ ময়নাগুড়িতেই লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের চারটি কামরা৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ লাইনচ্যুত হওয়া কামরার নিচে এখনও অনেক যাত্রী আটকে আছেন বলে খবর৷ তাঁদের বের করে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল৷ কিন্তু উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অন্ধকার৷ আলোর অভাবে উদ্ধারকার্য চালাতে ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে৷ দুর্ঘটনাস্থলে আলোর ব্যবস্থা করতে তাই ড্র্যাগন লাইট আনার বন্দোবস্ত করেছে রেল৷
আগামিকাল শুক্রবার ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। একই সঙ্গে এদিনই দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার পিছু ৫ লাখ, আহতদের ১ লাখ, অল্প আহতদের ২৫ হাজার করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রতিমুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী খোঁজ-খবর রাখছেন। তাঁকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। সন্ধে ৮টা নাগাদ রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৪৫জন।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টিতে নজর রাখা হয়েছে। রেল কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকার্য চলছে। এরপরেই রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন কেন দুর্ঘটনা ঘটল তাও দেখা হচ্ছে। রেলমন্ত্রীর আশ্বাস এই ঘটনার পেছনে কোনও গাফিলতি থাকলে তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।