লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, নয়া গাইডলাইন ভারতীয় রেলের
দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত সপ্তাহ থেকেই করোনার এই ঊর্ধ্বগতি চোখে পড়ছে। এমতাবস্থায় যাত্রীদের জন্য কঠোর গাইডলাইন জারি করল ভারতীয় রেল। যা কিনা ট্রেনে চড়া যাত্রীদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীকে রেল চত্বরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্যও গাইডলাইন জারি করা হয়েছে।
এছাড়া, করোনা রোধে গাইডলাইন কতটা মেনে চলা হচ্ছে, তার দিকেও নজর রাখবে রেল। কর্তৃপক্ষের তরফে আকস্মিক ভাবেই পর্যবেক্ষণ কাজ চালানো হতে পারে। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান, GM ও DRM-এর সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সেরেছেন।
রেলমন্ত্রী বিভিন্ন রেলওয়ে জোনের ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষ রেলওয়ে হাসপাতাল এবং সাধারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারে।
রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং CEO ভি কে ত্রিপাঠি, বোর্ডের সদস্যরা, রেল মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের পাশাপাশি সমস্ত জোনাল রেলওয়ে, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজাররা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খুঁটিয়ে জানতে চান রেলমন্ত্রী।
কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রেলের গাইডলাইন –
মাস্কহীন ব্যক্তিদের রেল স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বারাবার হাতের হাইজিন সম্পর্কে সচেতন করতে রেল স্টেশনে বারবার ঘোষণা করা হবে।
মাস্ক পরা ও অন্য সতর্কতা ব্যবস্থা মেনে চলতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে একটি প্রচার অভিযান চালানো হবে।
রেল কর্মী ও তাঁদের সন্তানদের টিকা দেওয়া। এছাড়াও রেলের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের বুস্টার ডোজ দিতে হবে।
ওষুধের প্রাপ্যতা, অক্সিজেন সরবরাহ, জিওলাইট স্টক এবং লিকুয়্যইড অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর ও অন্য সরঞ্জামের কার্যকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেও কিছু মানুষ বেপরোয়া ভাবে মাস্কহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই কেলের তরফে এমন গাইডলাইন ইস্যু করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭। যা আগের দিনের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জন। যা নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫।