পঞ্জাবে মোদীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল? বিতর্কিত মন্তব্য অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
পঞ্জাবের ফিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তায় গাফলতির ঘটনায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই প্রসঙ্গে হিমন্ত সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস হাইকমান্ড এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। হিমন্ত বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন, ‘কংগ্রেস হাইকমান্ড ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মিলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।’
হিমন্ত অভিযোগ করেন, মোদীর কনভয় আটকাতে যে বিক্ষোভ দেখানো হবে, তা আগে থেকেই জানতেন পঞ্জাব পুলিশএর ঊর্ধ্বতন কর্তারা। এক স্টিং অপারেশনকে উদ্ধৃত করে হিমন্ত বলেন, ‘পঞ্জাব সিআইডির ডিএসপি সুখদেব সিংকে স্পষ্ট ভাবে এক সিনিয়র এসএসপিকে বলতে শোনা যাচ্ছে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে। এই আলোচনা হয়েছিল ২ জানুয়ারি। আর প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের পথ আটকে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছিল ৫ জানুয়ারি। এর অনেক আগেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পুলিশকে দেওয়া ছিল।’
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও অভিযোগ করেন, ‘এই বিক্ষোভ কোনও কৃষকদের ছিল না। খালিস্তানিরা এই বিক্ষোভ করছিল। সব তথ্য ও প্রমাণ থেকে এটা স্পষ্ট যে কংগ্রেস হাইকমান্ড ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল।’ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্ সিং চান্নির গ্রেফতারিরও দাবি তোলেন হিমন্ত।
এদিকে হিমন্তের সুরে সুর মিলিয়ে বুধবার যোগী আদিত্যনাথও দাবি করেন যে পঞ্জাবে মোদীর নিরাপত্তায় গাফলতির বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। এক জনসভায় যোগী বলেন, ‘পঞ্জাব সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তায় গাফিলতি পূর্ব পরিকল্পিত স্পনসরড ষড়যন্ত্র ছিল। পঞ্জাব সরকার প্রটোকল মানেনি। সেখানে ড্রোন বা কোনও হামলা হতে পারত। কিন্তু তারা সেই সব সম্ভাবনা উপেক্ষা করে। কংগ্রেসের উচিত দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।