উত্তরবঙ্গে লাইনচ্যুত গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস, একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা
হঠাৎই বিকট শব্দ। কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কান্নার রোল উত্তরবঙ্গের শীত মাখা বিকেলকে চুপ করিয়ে দিল। ততক্ষণে খবর ছড়িয়ে গিয়েছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ১৫৩৬৬ আপ বিকানের এক্সপ্রেস। ময়নাগুড়ি ও দোমহনী জংশনের মাঝে ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি।
ট্রেনটি পাটনা থেকে গুয়াহাটির দিকে যাচ্ছিল। প্রাথমিক ভাবে খবর, আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। ৫০ জনের বেশি মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল। গিয়েছে পুলিস। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনার দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবার বিকেলে?
প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং রেল আধিকারিকরা বলছেন, লাইনচ্যুত হওয়ার জন্যই এই দুর্ঘটনা। তখন কমবেশি বিকেল ৫টা। ঘটনার সময় এক্সপ্রেসটির গতি ছিল কমবেশি ৪০ কিলোমিটার ঘণ্টায়। বেলাইন হওয়ার কারণেই খুব সম্ভবত দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের গতিবেগ ৪০ এর উপর ছিল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একটি দল। কারণ যেভাবে একটি কামরার উপর আর একটি কামরা উঠে গিয়েছে তা অচিরেই মনে করিয়ে দিচ্ছে গাইশাল দুর্ঘটনার কথা।
জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক দেহ আটকে রয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে ৬০টি অ্যাম্বুল্যান্স।
ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এরসঙ্গে কোনও নাশকতার ঘটনা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা বিশ্বাস বলেছেন, এপর্যন্ত ৫টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, ৬০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, ১৬ জনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ পুরোদমে চলছে।