সংকটজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ কমিটি, নিয়মেও বদল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের
তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বজুড়ে কামড় বসিয়েছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। এবার ভয় ধরিয়েছে তার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron)। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট প্রোটোকল বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। আর তৃতীয় ঢেউয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বয়স্ক, কো-মর্বিডিটিযুক্ত রোগীদের, বিশেষত যাঁরা কোভিড পজিটিভ (COVID-19)হয়ে হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট আইসিইউ-তে ভর্তি। স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে তাঁদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হল। এই কমিটির সদস্যরা সিসিইউ বা আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন, দেবেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এই বিশেষজ্ঞ কমিটির (Expert Committee) নেতৃত্বে এসএসকেএমের (SSKM)গ্যাস্টোএন্ট্রোলজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার গোপালকৃষ্ণ ঢালি। কমিটিতে রয়েছেন ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘ডক্টর অন হুইলস’-এর কারিগর ডাক্তার অভীক ঘোষ। এছাড়া রয়েছেন বেলেঘাটাই আইডি-র চিকিৎসক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তিনজনের কমিটি রাজ্যের সবকটি হাসপাতালের আইসিইউ (ICU)বা সিসিইউ-তে (CCU) চিকিৎসাধীন কো-মর্বিডিটি যুক্ত এবং বয়স্ক রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা করা হবে, তার রূপরেখা ঠিক করবেন। এছাড়া ‘হাই রিস্ক’ রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যও রাখবেন তাঁরা।
এছাড়া আইসিএমআরের (ICMR) গাইডলাইনের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য রেখে কোভিড চিকিৎসার গাইডলাইনে সামান্য বদল এনেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। বলা হয়েছে, জরুরি কোনও অপারেশন (Emergency Operation) কোভিড টেস্টের জন্য দেরি করা যাবে না। অর্থাৎ রোগীর করোনা পরীক্ষা হয়নি বলে কোনও জরুরি সার্জারি আটকে রয়েছে, পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমনটা আর করা যাবে না। একবার করোনা পরীক্ষা হলে, সেই রিপোর্টই গ্রাহ্য করতে হবে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ৭ জন কোভিড রোগীকে শরীরে পেসমেকার বসানো হয়েছে জরুরিভিত্তিতে।