ঋষভ পন্থের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও টেস্ট সিরিজ জয়ের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের পর এশিয়ার বাইরে টেস্টে তৃতীয় সেঞ্চুরি ঋষভ পন্থের। তাও আবার দলের বাকিরা যখন সবাই মিলে স্কোরবোর্ডে ৯৮ রান তুলেছেন, তখন একাই শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর একার রান বাকিদের মিলিত উদ্যোগের চেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্ত হওয়া কিংবা গর্ব করা গেলেও দলকে রক্ষা করা হয়তো সম্ভব হয় না। কেপ টাউনে দিনের শেষ ছবিটা যেন সে কথাই বলছে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র একটি উইকেট খুইয়েই ১০০ রানের গণ্ডি পার করল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাতেই যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল প্রোটিয়াদের তৃতীয় টেস্ট তথা সিরিজ জয়ের স্বপ্ন।
মারক্রামকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরানো গেলেও ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেন অধিনায়ক এলগার এবং পিটারসেন। পাঁচ দিনের ফরম্যাটে দারুণ ছন্দে ধরা দিচ্ছেন পিটারসেন। আর তৃতীয় দিনের শেষে ৪৮ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। প্রোটিয়ারা একশোর গণ্ডি পেরনোর পর এলগারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান বুমরাহ। জয়ের জন্য আর মাত্র ১১১ রান প্রয়োজন দক্ষিণ আফ্রিকার। হাতে দুটো দিন এবং আটটা উইকেট। ফলে দুই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে ভরা যেন হোম ফেভারিটদের কাছে শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
তবে হ্যাঁ, বাইশ গজের লড়াইতে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী সেভাবে খাটে না। বুমারহ-শামি-অশ্বিনরা যদি অঘটন ঘটাতে পারেন, তবে কে বলতে পারে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ কোহলিই দেবেন ভারতবাসীকে। কিন্তু সে গুড়ে বালি দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর এগলারের সৈনিকরা।
বুধবার এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কিন্তু শুরুতেই টপ অর্ডারে ধস নামান রাবাডারা। দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও কেএল রাহুল অল্প রানে ফিরলে হাল ধরেন কোহলি ও পূজারা। কিন্তু ক্যাপ্টেনের সঙ্গে ক্রিজে টিকে থেকে বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি পূজারা। ৯ রানেই ফিরে যান। একই হাল রাহানের। রাবাডার ডেলিভারিতে এলগারের হাতে ক্যাচ তুলে মাত্র ১ রানে আউট হন তিনি। আর তারপরই নেটদুনিয়ায় শুরু হয় জোর সমালোচনা। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলিও। একা পন্থই (Rishabh Pant) যেটুকু অক্সিজেন জোগালেন। কিন্তু তাঁর এই লড়াকু ইনিংসে আখেরে, দলের কতখানি লাভ হয়, সেটাই এখন দেখার।