বেপরোয়া চালকের জন্যই ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনা? দায়ের এফআইআর
বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ ময়নাগুড়ির (Maynaguri) কাছে লাইনচ্যুত (Derailed) হয় আপ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস (Guahati-Bikaner Express)। শুক্রবার ওই দুর্ঘটনা নিয়ে ময়নাগুড়ি থানায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানালেন ট্রেনের এক যাত্রী। তাঁর বক্তব্য, চালক বেপরোয়া ট্রেন চালাচ্ছিলেন। সেজন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগকারীর নাম উত্তম রায়। স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি ১২ জানুয়ারি গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেসে ওঠেন। দুর্ঘটনায় তিনি ও তাঁর ছেলে আহত হয়েছেন। চিঠির শুরুতে উত্তমবাবু জানিয়েছেন, তিনি কোচবিহার জেলার মধুপুর ধাম গ্রামের বাসিন্দা। ১২ জানুয়ারি সকাল ন’টায় জয়পুর স্টেশন থেকে তিনি ওই ট্রেনে ওঠেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী অর্চনা রায় দাস, ছেলে দীপ রায় ও মেয়ে দিয়া রায়। তাঁদের নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামার কথা ছিল।
১৩ জানুয়ারি ট্রেনটি দাঁড়িয়েছিল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। বিকাল চারটে বেজে পাঁচ মিনিট নাগাদ ট্রেন ওই স্টেশন থেকে ছাড়ে। তখন ট্রেন তীব্র গতিতে চলছিল। বিকাল পৌনে পাঁচটা নাগাদ চালক ব্রেক কষেন। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেয়ে ট্রেন থেমে যায়। তার ফলেই ট্রেনের ১২ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে উত্তমবাবুর আঘাত লাগে। তাঁর ছেলের মাথা ফেটে যায়।
স্থানীয় লোকজন ট্রেনের যাত্রীদের উদ্ধার করেন। উত্তমবাবু ও তাঁর ছেলে এখন ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
চিঠির শেষেও নিউ ময়নাগুড়ি জিআরপিএসের অফিসার ইন চার্জের কাছে উত্তমবাবু অভিযোগ করেছেন, চালক আচমকা ব্রেক কষার জন্যই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরে রেল জানায়, সম্ভবত লাইনে ফাটল থাকার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে সরকার ঘোষণা করেছে, মৃতদের নিকটাত্মীয়দের পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গুরুতর আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন ১ লক্ষ টাকা করে। অল্প আহতরা ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন।