জামিন নাকচ বুল্লি বাই মাস্টারমাইন্ড নীরজ বিষ্ণোইয়ের
জামিন (bail) হল না বুল্লি বাই অ্যাপের (bulli bai app) মাস্টারমাইন্ড (mastermind)তথা নির্মাতা নীরজ বিষ্ণোইয়ের। গিটহাব কাজে লাগিয়ে ওই অ্যাপ তৈরি করে তাতে শতাধিক মুসলিম (muslim women)মহিলার ছবি তুলে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের অনুমতি ছাড়াই! তার সঙ্গে নানা কুরুচিকর মন্তব্য। দিল্লির এক আদালত (delhi court)এ ব্যাপারে গ্রেফতার ২১ বছরের নীরজকে জামিন নামঞ্জুর করে জানিয়েছে, তার কীর্তিকলাপ (activities) একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মহিলাদের মর্যাদা ও সমাজের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিপন্থী।
মুখ্য মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ডঃ পঙ্কজ শর্মা জামিনের আবেদন নাকচ করে বলেন, মামলার তথ্যে প্রকাশ, অভিযুক্ত বুল্লি বাই অ্যাপ তৈরি করেছে যাতে মহিলা সাংবাদিক একটি বিশেষ গোষ্ঠীর নামী, সেলেব্রিটি ও সোস্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি পাওয়া মহিলাদের নিশানা করা হয়েছে, তাঁদের অপমান, সমাজের চোখে হেয় করার উদ্দেশে খারাপ ভাবে দেখানো হয়েছে। অভিযুক্তের তৈরি করা অ্যাপে এই মহিলাদের সম্পর্কে অশালীন, অবমাননাকর ও সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিতবাহী কনটেন্ট তুলে দিয়ে তাঁদের চরিত্র হনন অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযুক্তের এমন আচরণ একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মহিলাদের শালীনতা, শ্রদ্ধা হানি করেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও নষ্ট করেছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে এবং পুলিশ এই জঘন্য, নিন্দাজনত কাজে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানায় আদালত। নীরজের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে পুলিশ জানায়, তারা প্রমাণ জোগাড়ের ব্যাপারে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি বিশ্লেষণ করছে। তাছাড়া নীরজ দেশের একাধিক থানায় একগুচ্ছ মামলায় জড়িত।
এই মামলায় অভিযোগকারী এক সাংবাদিক একাধিক নামী মহিলার ছবি পেশ করে দাবি করেন, যৌনগন্ধী মন্তব্য করে তাঁদের মান-সম্মান, মর্যাদা, শ্লীলতাহানিই ছিল এর উদ্দেশ্য। অভিযোগকারী এও জানান,তিনি নিজে নামকরা সাংবাদিক হওয়ার দরুণ এজন্য তাঁকে বিরাট অসম্মান, অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়।
পুলিশ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নীরজকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩ বি,৩৫৪ এ, ৫০৯ ধারায় অভিযুক্ত করে। সে গ্রেফতার হয় অসমের জোরহাট থেকে।