নির্বাচনের দিন কোনওরকম গায়ের জোরে ভোট করালে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ: সৌগত রায়
করোনা (Corona) আবহে ভোটের ভবিষ্যৎ এখন ঝুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের তিন কর্পোরেশনের সঙ্গে কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগরে পুরভোট (Bidhannagar Corporation Election) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে ১০ দিগন্ত নাম দিয়ে কলকাতা পুরভোটের স্টাইলে এবার বিধাননগরেও ইস্তেহার প্ৰকাশ করল তৃণমূল। যেখানে বিধাননগরে ফের পুরবোর্ড দখল করলে আগামী ৫ বছর তৃণমূল (TMC) কী করবে, তারই রূপরেখা বর্ণনা করা হয়েছে।
তবে ভোটের দিন কোনওরকম গা-জোয়ারি করা যাবে না বলে দলীয় প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের হুশিয়ারির সুরে বার্তা দিলেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “জোর করে ভোট করার চেষ্টা হলে শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অতীতের কথা ছেড়ে দিন, আর হবে না। বিধাননগরে যা কাজ হয়েছে, জবরদস্তির দরকার নেই।’’
কিন্তু কেন এমন বার্তা?
আসলে ২০১৫ সালে শেষবার বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনে সন্ত্রাস, ছাপ্পা সহ ভুড়িভুড়ি অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার নির্বাচনী প্রচারে সেটাই বারে বারে তুলে ধরেছে বিরোধীরা। সম্প্রতি, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন কলকাতা আগরতলা হবে না। এখানে সন্ত্রাসের কোন ঠাই নেই।
গণতান্ত্রিকভাবে মানুষ যাকে বেছে নেবেন সেটাই মাথা পেতে গ্রহণ করতে হবে। সেই পথে হেঁটেই এবার দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় দলীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা কোথাও জোর করে জিততে চাই না। দলের তরফের নীতি স্পষ্ট করা হয়েছে। কারণ, পঞ্চায়েতে জবরদখল করা হয়েছিল, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে তার মূল্য দিতে হয়েছে! ২০২৪ এ আবার লোকসভা নির্বাচন! এখন যদি ভোট দিতে না দেওয়া হয়, তার প্রভাব পড়তে পারে। কয়েকটা পুরসভা জেতার চেয়ে, আমাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, লোকসভা ভোটে ভালো ফল করা। দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের বলে দেওয়া হয়েছে । তারা মিটিং করে তৃণমূল স্তরে জানিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না । কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প এ রাজ্যে নেই।’’