পঞ্জাব নির্বাচন পেছানোর দাবিতে কমিশনকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী চান্নির
ভোট গ্রহণের আর ঠিক চার সপ্তাহ বাকি। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এরই মধ্যে পাঞ্জাব নির্বাচন (Punjab Election 2022) পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাল কংগ্রেস। ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, পাঞ্জাবের ভোট অন্তত ছ’দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। দাবি তুলে হঠাৎ নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি (Charanjit Singh Channi)।
গত ৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব (Punjab), মণিপুর এবং গোয়ার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে পাঞ্জাবের ১১৭টি আসনে। সেসময় ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানায়নি কংগ্রেস। বরং, মুখ্যমন্ত্রী নিজে কমিশনের (Election Commission) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার হঠাৎ অবস্থান বদলে ভোট পিছোনোর দাবি তুললেন তিনি।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের দলিত শিখদের ধর্মগুরু রবিদাসের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই বেনারসে তীর্থ করতে যাবেন প্রায় ২০ লক্ষ দলিত শিখ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে এই ভোটাররা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর অনুরোধ, ভোটের দিন অন্তত ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক, যাতে এই ২০ লক্ষ ভোটার বেনারস থেকে ফিরে এসেও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। যদিও, শেষ মুহূর্তে চান্নির এই চাবি কমিশন আদৌ মানবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
আসলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এই দলিত শিখ সম্প্রদায়ের নেতা। আগামী নির্বাচন জিতে পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে (Congress) ফের ক্ষমতায় আসতে হলে রাজ্যের ৩২ শতাংশ দলিত ভোটারকে সংগঠিত করা জরুরি। কারণ, পাঞ্জাবের হিন্দু ভোটারদের একটা বড় অংশের ভোট যাবে বিজেপি এবং অমরিন্দর সিংয়ের জোটের দিকে। আম আদমি পার্টিও সেখানে কিছুটা ভাগ বসাবে। উচ্চবর্ণের জাঠ শিখদের ভোটের একটা বড় অংশ যায় অকালি দলের খাতায়। সেখানেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ভাগ বসাবে আম আদমি পার্টি। তাই ক্ষমতায় ফিরতে কংগ্রেসের মূল ভরসা এই ৩২ শতাংশ দলিত শিখদের ভোটই।