ডেল্টা না ওমিক্রন, কীভাবে বুঝবেন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত আপনি?
ওমিক্রনের ফলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান আসছে, তাতে রয়েছে আশার আলোও। ওমিক্রনে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে বটে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যা রিয়েন্টের তুলনায় শারীরিক অসুস্থতা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে ভর্তি, ফুসফুসে সংক্রমণের মতো ঘটনা কম।
ভারতে দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ে মূল দায়ী ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। সেই সময়ে শারীরিক অসুস্থতার বাড়াবাড়ির কথা কারও অজানা নয়। আর সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাচ্ছে, ওমিক্রনে সংক্রমণ বেশি হলেও, গুরুতর অসুস্থতা কম হচ্ছে। তবে, জনসংখ্যার একটা বড় অংশের সম্পূর্ণ টিকাকরণও হয়ে গিয়েছে। সেটাও একটা বড় কারণ।
এমন পরিস্থিতিতে করোনা পজিটিভ হলে ডেল্টা বা ওমিক্রনের পার্থক্য বোঝাটা জরুরি। কারণ সেই লক্ষণগুলি আলাদা করে আপনার চিকিত্সককে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। আর সেই অনুযায়ী আপনাকে আরও বেশি সাবধানে থাকতে হবে।
এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন নিয়ে সীমিত পর্যবেক্ষণই হয়েছে। তবে যে কটি সমীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, ডেল্টা ও ওমিক্রনের উপসর্গের মধ্যে কিছু মূল পার্থক্য রয়েছে।
ওমিক্রনের কিছু লক্ষণ:
১. গলাব্যথা
২. ক্লান্তি
৩. মাথাব্যথা
৪. হালকা জ্বর
৫. গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা
৬. শুকনো কাশি
আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, কোভিড-এর নতুন সুপার মিউট্যান্ট স্ট্রেনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটাই বেশ কমন। তা হল গলাব্যথা।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের নামজাদা চিকিৎসক এবং ফুসফুস-বিশেষজ্ঞ মনোজ গোয়েল বলেছেন, শুধুমাত্র শ্বাসযন্ত্র নয়, ওমিক্রন শরীরের অন্য অঙ্গেও একই রকম ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এই তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে পেট। তাঁর কথায়, ‘ওমিক্রন সংক্রমণ হলে অনেকেরই পেটব্যথা, বমি, বমি-বমি ভাব, খিদে কমে যাওয়া, পেটের গণ্ডগোলের মতো সমস্যা হচ্ছে। তার কারণ ওমিক্রনের জীবাণু সরাসরি পেটের মিউকাসের উপর প্রভাব ফেলছে।’
শরীরে অক্সিজেন পরিমাণও তুলনামূলকভাবে ঠিক থাকছে। গত বছর সেকেন্ড ওয়েভের সময় রোগীদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে পাচ্ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন সেভাবে ফুসফুসে আক্রমণ করছে না। নতুন স্ট্রেনে সংক্রামিত রোগীদের স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি নষ্ট হচ্ছে না। এর আগে ডেল্টা স্ট্রেনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এটিই ছিল অন্যতম পরিচিত লক্ষণ।