৩ শতাংশের নীচে সংক্রমণের হার, অভিষেকের ডায়মন্ড মডেলের সাফল্যে আপ্লুত তৃণমূল
করোনা মোকাবিলায় নেতা-বিধায়কদের মুখে মুখে ফিরছে তাঁর ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ (Diamond Harbour Model)। করোনায় মোকাবিলায় (COVID Situation) এ বার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র সেই ডায়মন্ড হারবারারের সাফল্য তুরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গঙ্গাসাগর এবং করোনা পরিসংখ্যানে শীর্ষে থাকা কলকাতার সংলগ্ন হয়েও, ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে বলে জানালেন তিনি।
রবিবার সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার সামান্য নেমেছে। তার পরি সোমবার সকালে নেটমাধ্যমে ডায়মন্ড হারবারের পরিস্থিতি তুলে ধরেন অভিষেক। তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, ‘ফের করে দেখাল ডায়মন্ড হারবার। গঙ্গাসাগর এবং কলকাতার নিকটবর্তী হয়েও ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচেই রয়েছে। এই যুদ্ধে লাগাতার সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ।’
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন অভিষেক, শাসকদলের অন্দরে তা ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ হিসেবে পরিচিত। এর আওতায়, বাজারের মতো ভিড় জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা, উভয় পক্ষেরই দু’টি করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েত এলাকায় কন্ট্রোল রুম, ডক্টরস অন হুইলসের মতো একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন অভিষেক। সেই সঙ্গে মাইকিং করে প্রচার। দৈনিক পরীক্ষাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক।
বিগত কয়েক দিন ধরে এই ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলায় জেলায় এই পরিকল্পনা অনুসরণ করে করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগী হচ্ছেন বিধায়ক-কাউন্সিলররা। রবিবার হাবড়াতেও ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরসবার প্রশাসক নারায়ণ সাহা জানা, অভিষেকের অনপ্রেরণায় তিনি হাবড়ায় করোনা মোকাবিলা করতে চাইছেন।
এর আগে, অশোকনগর, ব্যারাকপুরেও বাজার, দোকান বন্ধ রেখে, ভিড়, জমায়েত নিষিদ্ধ করে ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ অনুসরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় দেখলে করোনা পরীক্ষা, সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়। যদিও বিরোধীরা এই ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।