কোভিড টিকা না নিলে ফরাসি ওপেনেও অংশ নিতে পারবেন না জকোভিচ: ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রক
অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দুবাই পৌঁছে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। এমনটা যদি ভেবে থাকেন, তাহলে একেবারেই ভুল করছেন। কারণ বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার কেরিয়ারে জটিলতা আরও বাড়তে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর হয়তো ফরাসি ওপেনের দরজাও বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে তাঁর জন্য। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccination) না নিলে ফরাসি ওপেনে অংশ নিতে পারবেন না সার্বিয়ান সুপারস্টার।
জকোভিচের টিকাকরণ না হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (Australian Open) কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ ছাড়পত্র পেয়ে মেলবোর্ন উড়ে গিয়েছিলেন জোকার। কিন্তু সেখানে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সার্বিয়ার তারকার ভিসার আবেদনপত্রে ভুল থাকায় তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দু’বার বাতিল করে দেওয়া হয় জকোভিচের ভিসা। যার জেরে তাঁকে রাত কাটাতে হয় ডিটেনশন সেন্টারেও। শেষমেশ আইনি লড়াইয়ে হেরে মাথা নত করেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু এরপরও মিটল না সমস্যা। এবার টিকার চক্করে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ফরাসি ওপেনে তাঁর অংশগ্রহণও।
সোমবারই ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, টিকা সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করেছে ফ্রান্স। যেখানে বলা হয়েছে, রেস্তরাঁ, কাফে, সিনেমা হল, দূরপাল্লার ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গায় প্রবেশের জন্য টিকাকরণের সার্টিফিকেট আবশ্যক। দর্শক থেকে ক্রীড়াবিদ, সকলের জন্যই একই নিয়ম লাগু করা হবে। তাই প্রত্যেককেই এই কোভিডবিধি মানতে হবে। কিন্তু সমস্যা হল জকোভিচ এখনও করোনার ভ্যাকসিন নেননি। নিতে চানও না।
তবে ফরাসি ওপেনের (French Open) আসর বসবে মে মাসে। ততদিনে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। ফ্রান্স তখন কী নির্দেশিকা জারি থাকবে, তার উপরই হয়তো নির্ভর করবে এই গ্র্যান্ড স্লামে জোকারের খেলার ভবিষ্যৎ। তবে ফরাসি সরকার সোমবার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখল যে সংক্রমণ ঠেকাতে তারা টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে। টিকা না নিলে নানা সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হতে হবে মানুষকে।