মেট্রো স্টেশনে করোনা সচেতনতায় মাস্ক পড়ে হাজির স্বয়ং উত্তম কুমার-সন্তোষ দত্ত!
‘শুধু তুমি নও অবলাকান্ত, অনেকেরই বলার সময় খেয়াল থাকে না।’ সত্যিই এখনও অনেকেরই খেয়াল থাকে না। মুখে মাস্ক পরতে। তাই মেট্রো ভ্রমণের আগে যাত্রীদের সে কথাই মনে করাচ্ছেন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার পুঁথিবাবু (উত্তমকুমার)। তিনি অবলাকান্তকে (সন্তোষ দত্ত) বলছেন, “বুঝলে বাবু অবলাকান্ত, যারা মাস্ক পরে না তারা মেট্রোয় চড়ে না।” ছবিতে উত্তমকুমার এবং সন্তোষ দত্ত দু’জনের মুখেই রয়েছে মাস্ক।
ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কের মধ্যে যাত্রীদের সচেতন করতে এর আগে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা আরপিএফকে দিয়ে প্রতি স্টেশনে প্রচার চালিয়েছে ‘নো মাস্ক নো মেট্রো’ কর্মসূচির। কিন্তু তাতেও মানুষের মধ্যে হুঁশ ফেরেনি। আর এবার তাই মাস্কের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার একটি দৃশ্যকে মিম বানিয়ে মেট্রোর তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। যে দৃশ্য দেখলে মানুষের মনে হাস্যরস তৈরির সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সচেতনও হবেন বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। আর যেহেতু এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সিনেমার দৃশ্য এবং তাতে উত্তমকুমার রয়েছেন, সে কারণে তা মানুষের মনে অত্যন্ত প্রভাব ফেলবে বলেও দাবি করছেন মেট্রো কর্তারা (Kolkata Metro)। মেট্রোর তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় তো বটেই বিভিন্ন স্টেশনেও এই ছবি দেওয়া হবে যাত্রীদের সচেতন করতে।
তবে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, যাত্রীদের সচেতন করতে আরও নানা ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। ফুটবলার ব্যারেটো থেকে শুরু করে ক্রিকেটার অরুণ লাল, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, গায়ক কুমার শানু, অমিত কুমার, রূপঙ্কর বাগচী, লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া, অভিনেতা দেবশংকর হালদার, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক গৌতম ঘোষ, লেখক পবিত্র সরকার, শ্রীজাতর মতো ২৬ জন সেলিব্রিটি মেট্রো যাত্রীদের সচেতন করতে ক্যাম্পেন শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য ভিডিও আকারে প্রত্যেক মেট্রো স্টেশনে দেখানো হচ্ছে যাতে যাত্রীরা মেট্রো ছাড়ার আগে মুখে মাস্ক পরে নেন। মেট্রোতে উঠেও কোনওভাবেই মাস্ক না খোলেন। মনে করা হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে মাস্ক পরতে বাধ্য করলে, তাঁরা হয়তো শুধু আরপিএফের সামনে মেট্রো স্টেশনে ঢোকার সময় মুখে মাস্ক পরবেন। ট্রেনে উঠেই খুলে ফেলবেন। কিন্তু সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে প্রচার চালালে তা মানুষের মনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে।