রাজ্য শ্রম দপ্তরের হস্তক্ষেপে চার বছর পর আজ খুলছে দার্জিলিংয়ের পেশক চা বাগান
দীর্ঘ চার বছর পর ফের খুলছে দার্জিলিঙের পেশক চা বাগান। সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। গত কয়েক মাস ধরেই এই চা বাগানটি খোলার চেষ্টায় ছিল শ্রম দফতর। সেই কারণে দার্জিলিং কর্মরত শ্রম দপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার মহম্মদ রিজওয়ানকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেন মন্ত্রী। সোমবার নতুন মালিকপক্ষ সিলিকন অ্যাগ্রো সংস্থা ছাড়াও, শ্রমিক ও চা বাগানে থাকা ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বৈঠক করে শ্রম দপ্তর। সেখানে দার্জিলিঙের পেশক চা বাগান খোলার বিষয়টি চূড়ান্ত হতেই শ্রম দপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার মন্ত্রীকে সে কথা জানিয়ে দেন। তার পরেই মন্ত্রী বেচারাম মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পেশক চা বাগান খোলার কথা ঘোষণা করে দেন। যদিও চা বাগান খোলা নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছিল শ্রম দপ্তর।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই সমস্ত বন্ধ চা বাগান খোলা হবে। সেই মতো আমি কাজ করছি। সব পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। রাজ্য সরকার শ্রমিকদের পাশেই রয়েছে। বাকি বন্ধ চা বাগানও দ্রুত খোলার চেষ্টা হবে।’’ গত এক মাসে পর পর তিনটি বন্ধ চা বাগান খুলে দিল শ্রম দপ্তর। এর আগে লংভিউ ও কালিজ ভ্যালি চা বাগান খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবারের বৈঠকের পরেই শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে নতুন মালিকের হাত ধরে খুলতে চলেছে পেশক চা বাগান। এই চা বাগানে ৫৭০ জন শ্রমিক রয়েছেন। চার বছর আগে ওই চা বাগান বন্ধ করে দেয় অ্যালকেমিস্ট নামক একটি সংস্থা । এর পর বিস্তর টানাপড়েন চলে। চার বছরে ওই চা বাগানের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি মিলিয়ে প্রায় ছয় কোটি টাকা বকেয়া হয়ে গিয়েছিল। যা মেটাতে পারবে না বলে জানিয়েছিল অ্যালকেমিস্ট। এর পরই জটিলতা কাটাতে সিলিকন অ্যাগ্রো-কে আবেদন করে রাজ্য। এর আগে এই সংস্থার হাত ধরেই খুলেছে লংভিউ চা বাগান। এ বারও বকেয়া মিটিয়ে চা বাগান খুলতে তৎপর হয়েছে ওই সংস্থা। মোট বকেয়া তিনটি কিস্তিতে শোধ করবে নতুন মালিকপক্ষ। যার ৪০ শতাংশ মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়ে দেবে মালিকপক্ষ। বাকি ৬০ শতাংশ বকেয়া দুই কিস্তিতে মার্চ ও জুলাই মাসে পরিশোধ করা হবে ।