এবার বড় পর্দায় জ্যোতি বসুর বায়োপিক তৈরি করার ইচ্ছাপ্রকাশ জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার এন কে সলিলের
জ্যোতি বসু (Jyoti Basu)। বাংলা তথা দেশের রাজনীতির একটি উজ্জ্বল নাম। গত সোমবারই ছিল তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করেছেন অনেকেই। এমন সময় জ্যোতি বসুর বায়োপিক তৈরির ইঙ্গিত দিলেন টলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার এন কে সলিল ( N. K. Salil)।
নয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলা সিনেমার জগতে নিজের সফর শুরু করেন এন কে সলিল। সিনেমার বহু বিখ্যাত সংলাপের পিছনে ছিল তাঁর কলম। ‘তুলকালাম’, ‘MLA ফাটাকেষ্ট’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘পাগলু’র মতো সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকার চলাকালীন সলিলকে প্রশ্ন করা হয়, সুযোগ পেলে কোনও রাজনীতিবিদের জীবন কাহিনি নিয়ে চিত্রনাট্য লিখতে চাইবেন তিনি?
এই প্রশ্নের উত্তরেই সলিল জানান, সুযোগ পেলে তিনি জ্যোতি বসুর বায়োপিকের চিত্রনাট্য লিখতে চান। টলিউডের চিত্রনাট্যকারের বক্তব্য, এখনকার রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যায়। তাই যাঁর সম্পর্কে খুব বেশি জানা নেই, তাঁর জীবন কাহিনি নিয়েই চিত্রনাট্য লিখতে চান।
দীর্ঘ সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন জ্যোতি বসু। দীর্ঘদিন ধরে একটা দল পরিচালনা করেছেন। তাঁর জীবনের কাহিনিতে অনেক রসদ রয়েছে, বলে মনে করেন সলিল। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে কাকে দেখা যেতে পারে বা কাকে দেখতে চান তিনি, সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানাননি সলিল।
১৯৯৮ সালে ‘আমি সেই মেয়ে’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এন কে সলিল। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম সিনেমা। তার আগে আকাশবাণীতে কাজ করতেন। দূরদর্শনেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সময় বিশিষ্ট পরিচালকের সঙ্গ পেয়েছেন। তাঁদের দেখেই অনেক কিছু শিখেছেন বলে সাক্ষাৎকারে জানান সলিল। অভিনেতা হিসেবে তাঁর বড় পছন্দের মিঠুন চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই দুই তারকার জন্য একাধিক জনপ্রিয় সংলাপ লিখেছেন তিনি। এবার সুযোগ পেলে বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনের কাহিনি নিয়ে চিত্রনাট্য লিখতে চান।