কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

জিআইএস ম্যাপিং সিস্টেম নতুন করে চালু করার সিদ্ধান্ত লালবাজারের

January 19, 2022 | 2 min read

কয়েক বছর আগে কলকাতা পুলিসে চালু হয় জিআইএস ম্যাপিং সিস্টেম। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছতে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এই ব্যবস্থা চালু হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই সিস্টেম মুখ থুবড়ে পড়ে। নতুন ডেটা ঢোকানো বন্ধ হয়ে যায় সিস্টেমে। এবার সেই ব্যবস্থা নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিল লালবাজার। এই ম্যাপিং সিস্টেমকে অত্যাধুনিক এবং আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সমস্ত ডিভিশনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন লালবাজারের কর্তারা। খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে চালু হবে।

জিআইএস ম্যাপিং পদ্ধতিতে কোনও থানা এলাকায় কতগুলি ব্যাঙ্ক, এটিএম, পোস্ট অফিস, ধর্মস্থান থেকে শুরু করে কী কী গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে তার সবটাই নথিভুক্ত থাকে। চিহ্নিত করা হয় অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলি। এগুলি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কোনও ঘটনা ঘটলে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে, দ্রুত এলাকা চিহ্নিত করে কম সময়ে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব। তাই এই সিস্টেমের উপর জোর দিতে চাইছেন নতুন নগরপাল বিনীত গোয়েল।

দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এই সিস্টেম নিয়ে খোঁজ খবর নেন। কীভাবে এই ডেটা ভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করা যায় তাই নিয়ে বৈঠক করেন আধিকারিকদের সঙ্গে। মূল্যায়ন করতে গিয়ে অফিসারদের নজরে এসেছে, বেশিরভাগ এলাকায় নতুন নতুন সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যাঙ্ক, এটিএম-সহ অনেক কিছু তৈরি হয়েছে। যেসব রেকর্ড এই সিস্টেমে নথিভুক্ত করা হয়নি। তাই এখানে কোনও কিছু ঘটে গেল জায়গা খুঁজে সেখানে পৌঁছতে অনেকটা সময় চলে যাবে। যে কারণে সুযোগ পেয়ে যাবে অপরাধীরা। পাশাপাশি দেখা যায় অনেক বস্তি বা ঘিঞ্জি এলাকা এই সিস্টেমের বাইরে রয়ে গিয়েছে। অথচ সেগুলি থাকা বেশি জরুরি। এই তথ্য জোগাড় শুরু হয়। যাতে এই সিস্টেমের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি ঢোকানো যায়। এখানে কোনও অপরাধ বা অন্য কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত পৌঁছনোই পুলিসের লক্ষ্য।

এর সঙ্গে দেখা হয়, বিভিন্ন থানা এলাকায় থানার, ট্রাফিকের এবং ব্যক্তিগতভাবে লাগানো কতগুলি ক্যামেরা আছে। তার মধ্যে কতগুলি কাজ করছে। সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি থানা এলাকায় এমন কিছু অঞ্চল আছে যেখানে ক্যামেরা নেই। অথচ ওইসব এলাকা অপরাধপ্রবণ। এমনকী, অনেক রাস্তায় আলো যথেষ্ট কম। তাই অপরাধ ঘটে গেলে অপরাধী খুঁজতে কাঠখড় পোড়াতে হবে। বিভিন্ন থানা এলাকায় এই ধরনের এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় ৩৫০০ ক্যামেরা বসানো হবে গোটা কলকাতায়। কোন এলাকায় কত ক্যামেরা আছে এই নথি জিআইএস সিস্টেমে ধরা থাকবে। তাই সেখানে কোনও অপরাধ ঘটলে জিআইএস ধরে দেখে নেওয়া হবে ওই ক্যামেরার অবস্থান কোথায়। সংশ্লিষ্ট ক্যামেরা দেখে অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। আশা কর্তাদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#lalbazar, #GIS mapping system

আরো দেখুন