এবার দিল্লির সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে শোভা পাবে বাংলার পটচিত্র
সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাদ গিয়েছে রাজ্যের প্রস্তাবিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ট্যাবলো। তবে বাংলার কাছে সুসংসাদ যে এবারের কুচকাওয়াজে শোভা পাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার পটশিল্প। পটচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলন ও বিপ্লবীদের ইতিহাস। এর ফলে পিংলায় আছড়ে পড়েছে খুশির জোয়ার।
পিংলার পটচিত্রশিল্পী বাহাদুর চিত্রকরের নেতৃত্বে ৩২ জন শিল্পী ৭ দিন ধরে পটচিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বাধীনতা আন্দোলন ও বিপ্লবীদের ইতিহাস। এর মধ্যে ফুটে উঠেছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবৃত্তান্ত, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার থেকে শুরু করে ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি সবকিছুই। রঙের আঁচরে প্রতিটি নির্বাক কাহিনী হয়ে উঠেছে জীবন্ত। পটচিত্রটি ৩০০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট চওড়া। নিজের হাতে গড়া এই সৃষ্টি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাহাদুর চিত্রকর জানান, ‘আমরা আমাদের পটচিত্রে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, সিধু কানহুদের তুলে ধরা হয়েছে। ৫০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট চাওড়া করে মোট ৬টি পিস তৈরি করা হয়েছে। পটচিত্রটি মোট ৩০০ ফুট লম্বা। এইরকমভাবে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ তিনি জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দিল্লির মন্ত্রনালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা ভুবনেশ্বরে গিয়ে কাজটি করি। প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজপথে এই পটচিত্রটি দেখানো হবে।’
এর আগে পিংলার পটচিত্রশিল্পীদের এই সৃষ্টি মন কেড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গত বছর নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে জাতীয় গ্রন্থাগারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তখন সেখানে ১২০ ফুট লম্বা একটি পটচিত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন পিংলার ৮ জন পটচিত্রশিল্পী। গত বছর নভেম্বরে ওড়িশার বালেশ্বরে আয়োজন করা হয় পটচিত্রের ওপর বিশাল কর্মশালা। এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন পিংলার ৩২ জন পটচিত্রশিল্পী। তবে এবারে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে পটচিত্রের স্থান পাওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিল্পীরা।
Midnapur Pingla