“আমার নেত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”- কল্যাণ বিতর্কে ইতি টানলেন অভিষেক
মাঘের শীতেও কল্যাণ বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এবার স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেই বিতর্কে ইতি টানলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে রাজনৈতিক সৌজন্য ও শিষ্টাচারের রাজনীতির এক নতুন অধ্যায় লিখছেন অভিষেক।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন গোয়া সফরে গিয়েছেন। সেখানেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক জানান, “আমিও তো বলছি আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এতে সমস্যার কি আছে।”
বিতর্কের সব দাবিকে খারিজ করে, প্রবীণ আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার প্রতিধ্বনি করেই তিনি বলেন আমিও বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমার নেত্রী। কল্যাণের কথাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে, অভিষেক একদিকে যেমন তৃণমূলের দলীয় শৃঙ্খলার নজির স্থাপন করলেন, অপর দিকে প্রবীণ অগ্রজ নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেও পিছপা হলেন না। এদিন সাংবাদিকদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরে সোজা ব্যাটে কার্যত সমস্ত রকম বিতর্কের যবনিকা পতন ঘটালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে অভিষেক এদিন বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে বলছেন মানে আমাদের দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র রয়েছে।” দলে মত প্রকাশকের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বলেই প্রকাশ্যে মন্তব্য করা যাচ্ছে, অর্থাৎ অভিষেকের কথায়; এ জিনিস তৃণমূলের অভ্যন্তরে সুস্থ দলীয় গণতন্ত্রকেই প্রতিভাত করল।
এদিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “এই ঘটনাই প্রমান করে যে, কংগ্রেসের মতো আমাদের দলে কোনও হাইকমান্ড কালচার নেই।” তৃণমূলের অভ্যন্তরে বিতর্ক ও দ্বন্ধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা সমস্ত দাবি, আজ অভিষেকের কথায় পুরোপুরি নসাৎ হয়ে গেল। একজন বৌদ্ধিক, বিচক্ষণ রাজনীতিকের মতো যথার্থ ভূমিকা পালন করলেন অভিষেক।