দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ইউটিউবের সৌজন্যে জয়নগরের মোয়া পাড়ি দিচ্ছে কানাডায়

January 20, 2022 | 2 min read

বিদেশে সাহেব-মেমদের ডিনার টেবিলে ডেসার্টের তালিকায় ঢুকে পড়েছে জয়নগরের মোয়া। কানাডা, ডেনমার্ক, লন্ডন সহ পাশ্চাত্যের বহু দেশেই পাড়ি জমিয়েছে বাংলার এই মুখে লাগা খাবার। এর হাত ধরেই বৈদেশিক মুদ্রা আসার রাস্তা খুলেছে ভারতের সামনে। অনেকেই জয়নগর-বহড়ুতে ঢুঁ মেরে মোয়া কিনে পাঠাতে শুরু করেছেন বিদেশে। অন্যান্য রাজ্যেও বাজার পেয়েছে এই মোয়া। সৌজন্যে ইউটিউব। সোশ্যাল মিডিয়ার এই মাধ্যমে বহু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে হাজারো মানুষের মুঠোফোনে। যা দেখে জল সামলাতে পারছে না জিভ।

স্বাদে-গন্ধে এই মোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই। যে কারণে দিনকে দিন এর কদর বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই বাংলার এই মোয়া আদায় করে নিয়েছে পেটেন্ট। ইউটিউবে যত ছড়াচ্ছে মোয়ার ভিডিও, ততই বাড়ছে বরাত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, পাশাপাশি বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে জয়নগরের সুস্বাদু মোয়া। সম্প্রতি কানাডা, ডেনমার্কে গিয়েছে প্যাকেট প্যাকেট মোয়া। সেখানে ভালো ব্যবসা মেলায় দ্বিতীয় দফার অর্ডারও এসে গিয়েছে, বলছেন বহড়ুর মোয়া ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোষ ও বাবলু ঘোষ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোয়া শিল্পের আতুঁড়ঘর বলতে বোঝায় জয়নগর ও বহড়ুকে। তবে ইদানীং স্বাদে জয়নগরকে টেক্কা দিয়েছে বহড়ু। বছর চারেক আগে বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিদের হাত ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ঢুকে পড়ে মোয়া। সেই স্বাদ জিভে লেগেছে সাহেব-মেমদেরও। তাই তাঁরাও ডেসার্টে পছন্দের তালিকায় ঢুকিয়ে নিয়েছেন এই মিষ্টিকে। চাহিদা তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে রপ্তানি। বহড়ুর মোয়া ব্যবসায়ীদের কথায়, অনেকেই মোয়া কিনতে এসে তৈরি থেকে প্যাকেজিং— সবটাই ভিডিও করে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে সেসব আপলোড করা হচ্ছে ইউটিউবে। তা দেখেই উৎসাহিত হয়ে লোকজন চলে আসছেন এখানে। ভিন রাজ্য বা বিদেশ থেকেও ফোন আসছে। আসছে অর্ডার। বাণিজ্যের গন্ধ পাওয়ায় এগিয়ে এসেছে রপ্তানিকারীরাও। এক ব্যবসায়ীরা বলেন, কোভিডের জেরে এবার ব্যবসা কেমন হবে, তা নিয়ে মনে দোটানা ছিল। তবে সেই চিন্তা এখন উধাও। বহড়ুর শ্যামসুন্দর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক রঞ্জিত ঘোষ ও বাবলু ঘোষ বলেন, ক্রেতারা দোকানে যেমন আসছেন, তেমনই অনলাইনেও অর্ডার আসছে। এক রপ্তানিকারক সংস্থার কর্ণধার মধুমিতা পোদ্দার সম্প্রতি ৩৫ কেজি মোয়া কিনে পাঠিয়েছেন কানাডার মার্কেটে। আরেক বাঙালি ১০ কেজি মোয়া কিনেছেন ডেনমার্কে পাঠানোর জন্য। সঙ্গে আরও
দশ কেজির বরাত দিয়ে গিয়েছেন। একজন তো ইউটিউবে ছবি দেখে লন্ডনবাসী এক আত্মীয়ের জন্য ২০ কেজি মোয়া নিয়ে গিয়েছেন। বীণাপাণি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গণেশ দাসের কথায়, মোয়ার দাম মানুষের সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে। প্রতি কেজির দাম ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০, ৪০০, ৫০০ টাকা পর্যন্ত। মোয়া ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোষ বলেন, এবার ইতিমধ্যেই এক কুইন্টাল মোয়া বিদেশে রপ্তানি হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Joyanagar Moa, #Canada

আরো দেখুন