ভারতীয় সার্কাস পার্টিতে এখন পিকনিক পার্টি চলছে, গেরুয়া শিবিরকে জাগো বাংলায় কটাক্ষ প্রবীর ঘোষালের
ফের রাজ্য বিজেপিকে তোপ দাগলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় পদ্ম ফুল শিবিরের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ‘রাজ্য বিজেপির মুষলপর্ব। গৃহদাহ নাকি গৃহযুদ্ধ’ শীর্ষক একটি লেখা তিনি লিখেছেন। আর সেখানেই তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘ভারতীয় সার্কাস পার্টিতে এখন পিকনিক পার্টি চলছে। মুষলপর্বে চড়ুইভাতি। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, রাজ্যে পদ্মটির শেষতম পাপড়ি ঝড়ে পড়ে যাওয়াটাও কেবল সময়ের অপেক্ষামাত্র। শতদল শিবিরের বেহাল দশা।
এই নিয়েই তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বঙ্গের পদ্ম শিবিরকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি-র প্রার্থী উল্লেখ করেছেন তার প্রতিবেদনে, ‘গৃহদাহের পর্ব শুরু হয়েছিল, বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনের সময়েই। বাংলার রাজনীতিতে যা নজিরবিহীন। গণতান্ত্রিক দলে মতবিরোধ, অন্তর্ঘাত একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু যারা নাকি সঙ্ঘ পরিবারের আদর্শে দীক্ষিত, তাদের দলে এরকম বিশৃঙ্খলা’? নিজের প্রতিবেদনে সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছেন প্রবীর ঘোষাল।
এর আগেও বিজেপি বিরোধীতায় একাধিক প্রতিবেদন উঠে এসেছে তৃণমূলের মুখপত্রে, বিজেপি প্রার্থীর কলমে। তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। আর শাসক দল এই প্রতিবেদনে বিজেপি প্রার্থীর অভিজ্ঞতা কী, তা বোঝাতে চেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির একাধিক নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ। বিক্ষুব্ধ শিবিরের আলাদা করে বৈঠক। সেই শিবিরের নেতাদের পিকনিকের আয়োজন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ভীষণরকম আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, বিজেপি তাদের অন্তঃকলহ আগে সামলাক। পরবর্তী সময়ে শাসক দলের সমালোচনা তারা করবেন। এরই মধ্যে তথাগত রায়ের একাধিক বক্তব্যকেও হাতিয়ার করতে শুরু করেছে জোড়া ফুল শিবির। জাগো বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রবীর ঘোষাল। তিনি লিখেছেন, ‘বঙ্গ বিজেপির বর্তমান অবস্থাটাকে ঠিক কি বলা যাবে? নাকি তথাগত রায়ের ভবিষ্যৎবাণী মেনে নিতে হবে, পদ্মফুল এ রাজ্যে মৃত্যুপথযাত্রী? এসব প্রশ্নে তর্ক হতে পারে৷ কিন্তু বিজেপির বাংলায় যে মুষলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই বিষয়ে রাজনৈতিক মহল এক রকম নিশ্চিত। এমনকি ওই দলের প্রবীণ নেতাদেরই একাংশের বক্তব্য, বিজেপি যখন এ রাজ্যে ৬-৭% ভোট পেত তখনও দলের এই রকম দৈন্যদশা দেখা যায়নি’। প্রসঙ্গত, এর আগেও কলকাতা পুরভোটের আগে বিজেপির এই অবস্থাকে ‘সার্কাস পার্টি’ বলে উল্লেখ করে তৃণমূলের মুখপত্রে কলম ধরেছিলেন উত্তরপাড়ার বিজেপি প্রার্থী।