কাঁথি ও এগরা পুরসভার নির্বাচনের জন্য পাঁচজনের নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল
ভোটের প্রার্থী কে হবে তা ঠিক করবে রাজ্য নেতৃত্বই। জেলা থেকে নামের সুপারিশ যেতে পারে। বুধবার দলীয় এক বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি জানান, এগরা ও কাঁথি পুরভোটের জন্য পাঁচ সদস্যর একটি নির্বাচনী কমিটি তৈরি করে দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এই কমিটি ভোটের যাবতীয় বিষয়ে নজর রাখবে।
এদিন অখিল গিরি বলেন, “শীর্ষ নেতৃত্ব গত কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটকে কেন্দ্র করে কাঁথি ও এগরা পুরসভার জন্য একটি নির্বাচনী কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। সেখানে পাঁচ সদস্য রয়েছেন। আমি সেই কমিটির আহ্বায়ক। আমি, বাকি চারজন ছাড়াও কয়েকজন নেতৃত্বকে আমরা ডেকেছিলাম। যুব, ছাত্র, টাউন প্রেসিডেন্ট, পুরসভার প্রশাসক সকলকেই ডাকা হয়। বুথ, ওয়ার্ড স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য একটা আলোচনা হল এদিন। আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করব। প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের সুপারিশ করার ক্ষমতা আছে। নাম ঘোষণা করবে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস।” একইসঙ্গে অখিল গিরি জানান, জেলায় কয়েকজন তৃণমূলে যোগদানের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সেই আবেদনও রাজ্য স্তরে জানানো হয়েছে।
সব ঠিকঠাক থাকলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও এগরা পুরসভা নির্বাচন হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসে। সূত্রের খবর, তার আগে অনেকেই টিকিট পেতে নানা জায়গায় যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। বিদায়ী কাউন্সিলররাও প্রার্থী হতে চাইছেন। অন্যদিকে মহিলা এবং তফশিলি সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলিতে কেউ কেউ চাইছেন পরিবারের কোনও মুখই প্রার্থী হোক। বুধবার দুই পুরসভার ভোট নিয়ে একটি বৈঠক হয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
কাঁথি ও এগরা পুরসভার নির্বাচনের জন্য মন্ত্রী অখিল গিরিকে আহ্বায়ক করে পাঁচজনের নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। এদিন সেই কমিটির পাঁচ সদস্য অখিল গিরি, বিধায়ক তরুণ মাইতি, উত্তম বারিক, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ মাইতি কাঁথির সেচ বাংলোয় কাঁথি ও এগরা পুরসভার দুই প্রশাসক-সহ স্থানীয় ছাত্র ও যুব নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখান থেকে বেরিয়েই অখিল গিরি জানান, ভোটের প্রার্থী কে হবে তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে। তাঁরা সুপারিশটুকু করতে পারবেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি অনেক ওয়ার্ডেই প্রার্থী খুঁজে পাবে না। যদিও বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হয়ে রয়েছে। প্রার্থী হতে না পারলে অনেকেই বিরোধী শিবিরে পা বাড়িয়ে দেবেন। সেই ক্ষোভ সামাল দিতে পারবে না জোড়াফুল শিবির। বিজেপিও জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভিতরে ভিতরে। এই জেলার পুরভোট নিঃসন্দেহে হাইভোল্টেজ। সূত্রের খবর আগামী ২ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ভোটের প্রচারে ময়দানে নামবেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী।