ফের বিজেপিতে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ ‘দিলীপ গড়’ খড়গপুরের যুব মোর্চার নেতার
পুরভোটের আগে রক্তক্ষরণ বন্ধই হচ্ছে না গেরুয়া শিবিরে। এবার খড়গপুরে (Kharagpur) বিজেপিতে (BJP) ভাঙন দেখা গেল। দিলীপ ঘোষ (Dilip Gosh) শহরে থাকাকালীনই তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি।
গতকাল খড়গপুর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি যুব মোর্চার দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি অভিষেক সাউ-সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেদিনীপুরের সাংসদ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিকে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে পুরুলিয়াতেও। বিজেপির নতুন জেলা সভাপতিকে নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সেখানে । সূত্রের খবর, ভূমিপুত্র নয় এমন কাউকে কেন বিজেপির জেলা সভাপতি করা হয়েছে? প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। দলীয় নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
চিঠি দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও। খবর সূত্রের। সম্প্রতি বিজেপির পুরুলিয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয় বিবেক রাঙ্গাকে। এ নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়। জয়পুরের বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতোর প্রতিক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ সমস্যা গণতান্ত্রিক উপায়ে দলের মধ্যেই সমাধান করা হবে।
এদিকে মতুয়া বিক্ষোভ (Matua Protest) সামাল দিতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে দল। এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ (Bangaon) বিজেপি-র (BJP) পুরভোট (WB Municipal Polls 2022) নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকেও দেখা মিলল না সেখানকার বিধায়ক এবং জেলা নেতৃত্বের। তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যেমন অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, তেমনই আবার তৃণমূলের (TMC) তরফে তাদের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সামনে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার গান্ধি পল্লিতে দলের পার্টি অফিসে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে ২২টি ওয়ার্ডকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে বনগাঁ উত্তর এবং দক্ষিণ পৌর মণ্ডলের বৈঠকে নানা বুথ থেকে কর্মীরা এলেও, বৈঠকে দেখা যায়নি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং জেলা নেতা দেবদাস মণ্ডলকে।