শুরু কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ, জানুন শেষ হবে কবে
অবশেষে শুরু হল কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ইচ্ছাপ্রকাশ করেন যে কালীঘাটেও যেন অতি দ্রুত একটি স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়।
কিন্তু ২০১৮ থেকে এই স্কাইওয়াক তৈরির কথা উঠলেও মূলত হকার সমস্যার কারণে দেরি হতে থাকে এর কাজ। এতদিন শুরু করা যায়নি কাজ।
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড থেকে কালীঘাট মন্দিরে ঢোকার মুখেই দীর্ঘদিনের পুরনো কালীঘাট হকার্স কর্নার। সেখানকার ১৮৪ জন হকারকে পুনর্বাসন নিয়েই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষকে।
আলাদা কমিটি গঠন করেও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে হকার্স কর্নারের হকারদের হাজরা পার্কে স্থানান্তরিত করে সক্ষম হয় কলকাতা পুরসভা। আর তারপরই শুরু হল স্কাইওয়াকের কাজ।
সে ক্ষেত্রে ডালার দোকান সহ যাবতীয় দোকান যদি নীচের রাস্তাতেই থেকে যায়, তাহলে দর্শনার্থীরা আবার স্কাইওয়াকে ওঠার ইচ্ছা হারাবেন। ফলে একটা আশঙ্কার মেঘ থেকেই যাচ্ছে। তবে যাবতীয় চিন্তাভাবনার মধ্যেই একদিকে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ, অপর দিকে হকার্স কর্নারকে সুদৃশ্যভাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা।
লম্বায় ৫০০ মিটার এবং চওড়ায় ১০.৫ মিটার এই স্কাইওয়াক তৈরি করতে খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কলকাতা পুরসভা তৈরি করতে চলেছে। আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে এই স্কাইওয়াক নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
স্কাইওয়াকে থাকবে ৪টি এসকালেটর। থাকবে দুটি ব্রাঞ্চ। যার একটি নামবে মন্দিরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে পুলিস কিয়স্কের কাছে। আরেকটি প্রান্ত নামবে কালীঘাট দমকল অফিসের দিকে থানার কিছু আগে।
তবে কাজ শুরু হলেও কিন্তু সমস্যা পুরোপুরি মিটছে না। কালীঘাট থানা থেকে পুরসভার হাতে প্রায় সাড়ে ৩০০ হকারের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সাড়ে ৩০০ হকারকেই স্কাইওয়াকের স্থান দেওয়া যে কোনওভাবেই সম্ভব নয়, তা জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকেরা।