লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, দেশের পাঁচটি ল্যাব বন্ধের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের
আতঙ্কের নয়া নাম ওমিক্রন। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু ক্রমশই যখন চওড়া হচ্ছে তার থাবা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তখন জেনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার জন্য বিশেষ ধরনের একটি রাসায়নিক কেনার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে না থাকায় দেশের পাঁচটি ল্যাব বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক!
জেনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার জন্য দেশজুড়ে ৩৮টি ল্যাবকে চিহ্নিত করেছিল কোভিড টাস্কফোর্স। পাঁচটি ল্যাব বন্ধ করে দেওয়ায় ল্যাবের সংখ্যা কমে হল ৩৩। দেশে কার্যত ঘণ্টায়-ঘণ্টায় করোনা আর ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিরিখে পাঁচটি ল্যাব বন্ধ করে দেওয়ায় আগামীদিনে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলে যে সমস্যার মুখে পড়বেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল।
এমন পরিস্থিতির মুখে যে পড়তে হবে, সে ব্যাপারে আগাম ইঙ্গিত দিয়েছিল সরকার। সরকার কার্যত স্বীকার করে নেয়, যে হারে জেনোম পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাতে আগামীদিনে সংকট দেখা দিতে পারে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সরকারের সেই আশঙ্কা সত্যি হল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকস্তরের জীবাণু বিশেষজ্ঞরা যখন আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আগামীদিনে হু হু করে বাড়বে, তখন আগে থেকে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি মোদী সরকার?