ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজের সার্টিফিকেট দেখালেই মিলবে বকেয়া কর-এ আকর্ষণীয় ছাড়
ভ্যাকসিনে বাসিন্দাদের আগ্রহ এবং পুর আয় একযোগে বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ সার্টিফিকেট দেখালেই মিলবে বকেয়া কর এ আকর্ষণীয় ছাড়। দক্ষিণ দমদম পুরসভার বক্তব্য, কোনও বাড়ি মালিকের ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নেওয়া হয়ে গেলে এবং সেই সার্টিফিকেট থাকলে তাঁর বকেয়া কর থেকে ২৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। নথি দেখিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে আবেদন করলে এই ছাড় পাবেন নাগরিকরা।
মুখ্য প্রশাসক পাঁচু রায় জানিয়েছেন, বহু পুর নাগরিকের মোটা টাকা কর বকেয়া রয়েছে। ১০ হাজার টাকারও বেশি কর বাকি রয়েছে অনেকের। বহু চেষ্টাতেও বকেয়া কর আদায়ে পুরোপুরি সফল হচ্ছেনা পুর কর্তৃপক্ষ। এবার ভ্যাকসিনের সঙ্গে কর ছাড়ের বিষয়টিকে মিলিয়ে জনমুখী ও আকর্ষনীয় ছাড় দিয়ে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে চাইছে দক্ষিণ দমদম। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৬০ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গিয়েছে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৫৭ জন নাগরিকের। অর্থাৎ হিসেব বলছে ২ হাজার ২০৩ জনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া এখনও বাকি রয়েছে। অন্যদিকে, এখনও বহু মানুষের প্রথম ডোজই নেওয়া হয়নি। তাঁদেরকেও টিকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। মুখ্য প্রশাসক বলেন, পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ এবং কর বিভাগ একসঙ্গে এই কাজ করবে। কীভাবে মিলবে এই ছাড়? কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ডবল ডোজের সার্টিফিকেট পুর কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে। যদি সংশ্লিষ্ট বাড়ি মালিকের সম্পত্তি কর বাকি থাকে সেক্ষেত্রে তিনি আবেদন করতে পারেন ছাড়ের জন্য। সেই মর্মে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে স্বাস্থ্য বিভাগে। তা যাচাই করে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বকেয়া করে। তবে আবেদনকারীর পরিবারের সমস্ত সদস্য টিকা নিয়েছেন কিনা তাও দেখবে পুরসভা। ওই বাড়ির যদি কেউ টিকা না নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তাঁদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।
অন্যদিকে, এদিন ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কম আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বলে দাবি পুরসভার। এই শ্রেণির আগ্রহ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক দেবশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টিকা নিতে আসা কিশোর-কিশোরীদের খেলার সরঞ্জাম, ব্যাগ সহ বিভিন্ন ধরণের উপহার দেন তিনি। প্রশাসকের দাবি, এই উপহার ভ্যাকসিন প্রাপকদের উৎসাহ বাড়াবে। পুরসভা সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৫৮ জন ১৫-১৮ বয়সীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।