বেহাল রেল পরিষেবা, শিলিগুড়িতে ফের লাইনচ্যুত দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন
ফের লাইনচ্যুত ‘অভিশপ্ত’ বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিনটি মেরামতির জন্য শনিবার সন্ধেয় শিলিগুড়ি লোকো শেডে আনা হচ্ছিল। সেই সময় শিলিগুড়ি জংশনে ঢোকার কিছুটা দূরে ফের লাইনচ্যুত হয় ইঞ্জিনটি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন রেল আধিকারিকরা। দ্রুত রিলিফ টিম এবং ক্রেন পাঠানো হচ্ছে। যাতে ক্রেনের মাধ্যমে ইঞ্জিনটিকে সোজা করা যায়। দুর্ঘটনা ঘটলেও অক্ষত রয়েছেন চালক। এদিকে দুর্ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি ট্রেনের রুট বদল করতে হয়েছে।
আর কিছুক্ষণের মধ্যে ওই রুট দিয়েই মহানন্দা এক্সপ্রেসের যাওয়ার কথা। কিন্তু ইঞ্জিন লাইন থেকে এখনও সরানো যায়নি। তাই মহানন্দা এক্সপ্রেসের রুট বদল করা হয়েছে বলে খবর। বাকি ট্রেনগুলির রুট বদল করা হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয়েছিল চারটি বগি। মৃত্যু হয় ৯ জনেরয জখম হন বহু। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বেশ কয়েকটি কামরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির মোট ১২টি বগি। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। উত্তরবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ত রুটের এই দুর্ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
গত এক সপ্তাহ যাবৎ ট্রেনটি দুর্ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েছিল। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। এদিন ইঞ্জিনের মেরামতির জন্য ইঞ্জিনটিকে শিলিগুড়ি আনা হচ্ছিল। শিলিগুড়িতে একটি লোকো শেড রয়েছে। সেখানেই হত মেরামতির কাজ। ফেরার পথে ফের বিপত্তি বাঁধল। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও অজানা। উপস্থিত রেল আধিকারিকরা কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ১৩ তারিখের দুর্ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন বিকানের এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার। তিনি বলেন, “গাড়ি ৯৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার স্পিডে ছিল। দোমোহনি স্টেশনে সবুজ সংকেত দেখেই ট্রেনটি চালাই। হঠাৎ অ্যাডভান্স সিগন্যালের আগে ঝাঁকুনি অনুভব করি। সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষি। তখনই দেখি পিছনে বগি উলটে গিয়েছে। কীভাবে হল বুঝতেই পারলাম না।” তিনি জানিয়েছিলেন, রেল ট্র্যাকের সমস্যার জন্যই এমন হয়েছে বলে ধারণা তাঁর। এর কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে বিকানের এক্সপ্রেসের চালকের বিরুদ্ধেই দায়ের হয় অভিযোগ।