নেই আতঙ্কের ফোন কল, বন্ধ হচ্ছে কোভিড হেল্প লাইন
আতঙ্ক নেই বললেই চলে। ধাপে ধাপে সংক্রমণও কমছে। ফলে যত দিন যাচ্ছে, রাজ্যের কোভিড হেল্পলাইন নম্বরে ফোনকলও কমছে। সাত মা স আগে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিখরে ওঠার সময়ে দিনে শুধু অনলাইন প্রেসক্রিপশন চেয়ে ফোন আসত পৌঁনে ৩ হাজারের কাছাকাছি। কোনও কোনও দিন আবার সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ফোনও এসেছে। সেখানে এখন টেলিমেডিসিনে প্রেসক্রিপশন বা ওষুধ জানতে চেয়ে ফোন আসছে চারভাগের একভাগও নয়। বৃহস্পতিবার কোভিড টেলিমেডিসিন পরিষেবার অবস্থা কেমন, জানতে সরোজমিনে পিজি হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যকর্তারা। পরিষেবায় যুক্ত চিকিৎসকরা তাঁদের জানান, করোনা সংক্রান্ত তথ্য, অনলাইন প্রেসক্রিপশন, অ্যাম্বুলেন্স, কাউন্সেলিং সবক্ষেত্রেই উদ্বিগ্ন মানুষের ফোন কল অনেক কমেছে। এরপরই স্বাস্থ্যকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, ফোন কল আসা যদি এমনই কম থাকে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোভিড টেলিমেডিসিন বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরিষেবায় যুক্ত ডাক্তারদের ফের রোগীর চিকিৎসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে দরকার পড়লে ফের চালু করা যাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবারের (১০,৯৫৯) তুলনায় শুক্রবার রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ আরও কমে ১০ হাজারের নীচে (৯১৫৪) এসেছে। পজিটিভিটিও গতকালের (১৬.২৭) তুলনায় অনেকটাই কমে হয়েছে ১২.৫৮। কলকাতা নিয়ে বরাবরই স্বাস্থ্যকর্তাদের দুশ্চিন্তা ছিল। সেই কলকাতাতেও দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমে হয়েছে ১৩৭৫। এদিকে রাজ্যের বহু কর্পোরেট হাসপাতালে রোগীদের খরচসাপেক্ষ অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্যসচিবের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। গাইডলাইনে না থাকলেও এবং আইসিএমআর দিতে বারণ করলেও, রোগীপিছু ১.২ লাখ টাকা পর্যন্তও নেওয়া হয়েছে বলে
অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন অভিযোগকারী ডাঃ কুণাল সাহা।
দপ্তর সূত্রের খবর, কোভিড সংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্যের জন্য স্বাস্থ্যভবনের কলসেন্টারের নম্বর হল ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২। স্বাস্থ্যভবনের স্বাস্থ্যসাথী বাড়ি ছাড়াও পিজি এবং বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পরিচালিত হতো এই টোল-ফ্রি লাইন। ফোন কল কমে আসায় আগেই স্বাস্থ্যসাথীর কোভিড টেলিমেডিসিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে এই পরিষেবা পরিচালিত হচ্ছে শুধু পিজি থেকে। মেডিক্যাল অফিসার থেকে শুরু করে স্পেশালিস্ট মিলিয়ে ৩০ জন চিকিৎসক ৩টে শিফটে এখানে টেলিমেডিসিন চালান। শীঘ্রই ওই ৩০ চিকিৎসককে ফেরত পাঠানো হবে আগের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে, আগের মতোই রোগী পরিষেবায়।