আইপিএল ২০২২: আমদাবাদ এবং লখনৌ দলের কারা হলেন অধিনায়ক?
খারাপ সময়ের মধ্যেই সুসংবাদ পেলেন টিম ইন্ডিয়ার অল-রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি আহমেদাবাদের অধিনায়ক হচ্ছেন তিনি। আরেক নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউয়ের অধিনায়ক হচ্ছেন কে এল রাহুল। শুক্রবার সরকারিভাবে নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিই নিজেদের রিটেনশনের তালিকা বিসিসিআইয়ের (BCCI) কাছে জমা দিয়েছে। তারপর শনিবারই বোর্ডের তরফে আগামী আইপিএলে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ক্রিকেটারের সংখ্যা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হার্দিক পাণ্ডিয়া ছাড়া আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি আর যে দু’জন ক্রিকেটারকে ড্রাফট থেকে নিয়েছে, তাঁরা হলেন রশিদ খান এবং শুভমন গিল। হার্দিক এবং রশিদের জন্য ১৫ কোটি টাকা করে খরচ করেছে আহমেদাবাদ। শুভমনের (Subhman Gill) জন্য তারা খরচ করেছে ৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে, লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি রাহুলের পাশাপাশি দলে নিয়েছে মার্কস স্টয়নিস এবং রবি বিষ্ণোইকে। স্টয়নিসের জন্য ৯.২ কোটি এবং বিষ্ণোইয়ের জন্য ৪ কোটি টাকা খরচ করেছে তাঁরা। আইপিএলের (IPL 2022) পুরোনো আট ফ্র্যাঞ্চাজি আগেই নিজেদের রিটেনশনের তালিকা দিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, বিসিসিআই জানিয়েছে, আগামী আইপিএলে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন মোট ১২১৪ জন ক্রিকেটার। এদের মধ্যে ৮৯৬ জন ভারতীয় এবং ৩১৮ জন বিদেশি। মোট ৪১ জন ক্রিকেটার রয়েছেন আইসিসির অ্যাসোসিয়েট দেশের সদস্য। ৮৯৬ ভারতীয়র মধ্যে জাতীয় দলে খেলেছেন ৬১ জন। বিদেশিদের মধ্যে জাতীয় দলে খেলেছেন ২০৯ জন। ভারতের আনক্যাপড ক্রিকেটারদের মধ্যে ১৪৩ জন আগে আইপিএলে খেলেছেন। আনক্যাপড বিদেশিদের মধ্যে আগে আইপিএলে খেলেছেন ৬ জন।
এই বিরাট তালিকা থেকে ছাঁটাই করে বিসিসিআই ছোট একটি তালিকা তৈরি করবে। সেই তালিকা ধরেই আগামী মাসে বেঙ্গালুরুতে নিলামের (IPL Auction) আসর বসবে। নিলামে নামার আগে সবচেয়ে বেশি অর্থ থাকছে পাঞ্জাব কিংসের হাতে। তারা নামবে ৭২ কোটি টাকা নিয়ে। ৬৮ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নামছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজস্থান রয়্যালস নামছে ৬২ কোটি টাকা নিয়ে। লখনউ দলের হাতে রয়েছে ৫৮ কোটি টাকা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হাতে আছে ৫৭ কোটি টাকা। ৫২ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নামবে আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি। কেকেআর, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের হাতে আছে ৪৮ কোটি টাকা করে। দিল্লির হাতে আছে ৪৭.৫ কোটি টাকা।