ঠিকা টেনান্সির জমিতে নির্মাণের অনুমতি মিলবে এক মাসেই, দাবি কলকাতার মেয়রের
ঠিকা টেনান্সির জমিতে নির্মাণের অনুমতি মিলবে একমাসেই। কিন্তু সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে ঠিকা প্রজা এবং ঠিকা ভাড়াটিয়াদের সম্মিলিত সম্মতি সহ আবেদন করতে হবে। তা করতে হবে কলকাতা পুরসভার ঠিকা সেলে। দোতলা পর্যন্ত নয়, পুর-আইন মেনে আরও বেশি তল নির্মাণ করা যাবে। মিলবে ব্যাঙ্কের ঋণও। শুক্রবার, কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠক শেষে ঠিকা আইনের এই সরলীকরণ করার সিদ্ধান্ত জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এদিনই প্রথম পুরভবনের বাইরে পুরসভার ময়দান তাঁবুতে মেয়র পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঠিকা কমিশনারও। ঠিকা টেনান্সির জমি ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দপ্তরের আওতাভুক্ত। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ঠিকার জমিতে বাড়ি তৈরির জন্য এক লক্ষের বেশি আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে ঠিকা কন্ট্রোলারের কাছে। অনুমতি পেতে অনেক সময় লেগে যায়। কখনও মাস গড়িয়ে বছর হয়ে যায়। এমন বহু অভিযোগ শুনতে হয় মেয়রকে। ফিরহাদ বলেন, ঠিকা প্রজারা কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং রুল অনুসারেই এখন থেকে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন।
এতদিন ঠিকা আইনের বলে সর্বোচ্চ দোতলা বাড়ি নির্মাণ করা যেত। কিন্তু সেই ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হল। এখন থেকে ঠিকা প্রজাদের একটি করে ফর্ম দেওয়া হবে। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকা প্রজাকে তাঁর অধীনস্থ ভাড়াটিয়াদের অনুমতি নিতে হবে। বাড়ি তৈরি হলে সব ভাড়াটিয়াকে জায়গা দিতে হবে। এগুলি পুরোপুরি আইনসিদ্ধ করতে বিধানসভায় আইন সংশোধন করা হবে। উল্লেখ্য, ঠিকা জমিতে নতুন নির্মাণের আবেদন মঞ্জুর করে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। কিন্তু সেই অনুমতি পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। তাই ঠিক হয়েছে, এবার থেকে আবেদন খতিয়ে দেখে প্রাক অনুমোদনের সব কাজকর্ম করবেন পুরসভার আধিকারিকরা।