নেতাজির নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নেতাজি (Netaji Subhas Chanda Bose)-র নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে রাজ্যে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chanda Bose) শুধু বাংলার নন। রবিবার রেড রোডে নেতাজি-স্মরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে নেতাজি-ট্যাবলো রেড রোডে প্রদর্শিত হবে। ফেডারেল স্ট্রাকচার ঠিক রাখবই।
প্ল্যানিং কমিশন বন্ধ করে দেওয়ার বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন মমতা। এদিন তিনি রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে প্রদর্শিত হবে। ফেডারেল স্ট্রাকচার ঠিক রাখবই।
প্ল্যানিং কমিশন বন্ধ করে দেওয়ার বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন মমতা। এদিন তিনি রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মরণে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্যে হবে প্ল্যানিং কমিশন।
এদিন মমতা জানান, নেতাজি সেই যে বাইরে চলে গেলেন। আজ পর্যন্ত আমরা জানি না। সেই যে রহস্য, তা রহস্যই থেকে। গেল। এ সরকার বলেছিল, তা উন্মোচন করবে।
মমতা বলেন, বাংলার ইতিহাস ভারতের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস বিশ্বের ইতিহাস। আজ আপনারা মেমোরিয়াল নিয়ে রাজনীতি করছেন। শহিদদের নিয়ে কখনও ভাগাভাগি হয় না। সাদা-সালোর কোনও ভেদাভেদ নেই। ছোটরাও দিয়েছে। বড়রাও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যাঁরা ইতিহাস মোছার চেষ্টা করবেন, তাঁরা আগুনে হাত পোড়াবেন। একটা স্ট্যাচু করে দিলে, নেতাজি স্মরণ করা যায় না। মা-মাটি-মানুষের নামে তিনি বলেন, যাঁরা ইতিহাস মোছার চেষ্টা করবেন, তাঁরা আগুনে হাত পোড়াবেন। একটা স্ট্যাচু করে দিলে, নেতাজি স্মরণ করা যায় না। মা-মাটি-মানুষের নামে স্কিম করতে চাই না। কারণ রাজনীতি করতে চাই না। মূর্তি দিয়ে সব কিছু হয় না। তিনি আরও জানান, গঙ্গাসাগরে গেট বানিয়েছিলাম। তার নাম সম্প্রীতি ব্রিজ দেওয়া হয়েছে। গান্ধীজি সবার সঙ্গে চলেছেন। বেলুড় মঠের ভেতরে দরগা রয়েছে।
মমতা বলেন, আমি যে বাড়িতে থাকি সেখানে মহাদেবের মূর্তি রয়েছে। আমি জন্ম থেকেই দেখছি। কী আপত্তি ছিল একটা ট্যাবলো না হয় থাকত। আগে রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতনের ট্যাবলো বাতিল করেছিলেন।
তিনি বলেন, যখন-তখন আইএএসদের নিয়ে চলে যাবে। মগের মুলুক নাকি। যাঁরা আইএএস-আইপিএস পড়েন, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। আমার চিফ সেক্রেটারিকে যখন হচ্ছে তখন ডেকে নিয়ে যাবেন। তা হলে তাঁর কাজ কে করবেন?