বিজেপির একাধিক জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে পাঁচ রাজ্যে তৃণমূলের অস্ত্র ডিজিটাল প্রচার
লক্ষ্য ২০২৪। তার আগেই পাঁচ রাজ্যের ভোটে বিজেপি বিরোধীতায় সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। গোটা দেশ জুড়ে মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে এখন থেকেই প্রচার শুরু করল তৃণমূল। কোভিড পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বড় মিটিং, মিছিলে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। ঘরে ঘরে প্রচার চলছে। আর মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতেই এবার ডিজিটাল মাধ্যমের আশ্রয় নিল জোড়া ফুল শিবির।
ইতিমধ্যেই অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক, ইউটিউব, ট্যুইটার ও ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল থেকে অডিও-ভিডিও বার্তা তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক এপিসোড তৈরি করে বিজেপি বিরোধিতায় তাদের অবস্থান কি? মানুষের কাছে কেন তারা বিজেপি বিরোধিতার কথা বলছেন সেই বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। যে কয়েকটি অডিও ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে আছে লখিমপুর খেরির ইস্যু। আছে ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ ও বেসরকারিকরণ ইস্যু। তুলে ধরা হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইন শৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির কথাও। উঠে এসেছে কোভিডের সময়ে গঙ্গাতেও মৃতদেহ ভাসানোর কথাও। আর এই সব ইস্যুতেই একাধিক ভিডিও ক্লিপিংস তথ্য-সহ বানিয়েছে বাংলার শাসক দল। আর তা দিয়েই ভোট প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হবে। তার মধ্যে গোয়ায় তৃণমূল সরাসরি লড়াই করছে। সেখানে তারকা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। এ ছাড়া গোয়া নিয়ে লাগাতার ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার চলছে। যার মধ্যে গৃহলক্ষ্মী কার্ড, যুবশক্তি কার্ড বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে। অন্যদিকে সরাসরি প্রার্থী না দিলেও, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল। ভার্চুয়াল প্রচারে আগামী ৭ ফ্রেব্রুয়ারি লখনউ যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশকে পাশে নিয়ে সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি।
এ ছাড়া পরবর্তী ধাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়ার কথা আছে বারাণসীতে। তবে তার আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশ নিয়ে ডিজিটাল প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, ‘আমরা সব রাজ্যেই ডিজিটাল প্রচারে জোর দিচ্ছি। কারণ কোভিডের সময়ে সব জায়গায় সরাসরি যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া সভা, মিছিল করার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম কানুন আছে। তাই আমাদের বক্তব্য আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে সোচ্চার হয়ে পৌঁছে দিচ্ছি।’