ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের উদ্যোগ কেন্দ্রের, লাভবান হতে পারে বাংলার বস্ত্রশিল্প
একাধিক দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) বা নিঃশুল্ক বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। তাতে অন্যান্য সেক্টরের পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে বস্ত্রশিল্পে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গও বস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক ওয়েবিনারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার বাজারে ভারতকে বাড়তি সুযোগ করে দিতেই তাঁরা এই চুক্তির দিকে এগচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইউরোপ ও আরবের দেশগুলির পাশাপাশি ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইজরায়েলের সঙ্গে এফটিএ’র ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছি। পাশাপাশি বস্ত্রের ক্ষেত্রেও যাতে নিঃশুল্ক বাণিজ্যের সুযোগ থাকে, সেই আলোচনাও চলছে। ইউরোপের দেশগুলিতে বস্ত্র রপ্তানির উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পীযূষ গোয়েল মনে করিয়ে দেন, বস্ত্র রপ্তানিতে বাংলাদেশ বা ভিয়েতনামের মতো দেশগুলি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। সেই প্রতিযোগিতায় ভারতেরও থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, সেই সুযোগ এলে লাভবান হবে বাংলার বস্ত্রশিল্প। কারণ এখানকার বস্ত্র নির্মাতারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের উদ্যোগ না থাকায় তাঁরা রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ছেন।
আর পাঁচটা সাধারণ চুক্তির মতো এফটিএ শুধুমাত্র চুক্তিতেই আটকে থাকবে না বলেই দাবি করেছেন পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, যেখানে আমরা বাজারের সুযোগ পাব, স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা করা যাবে এবং পারস্পরিক সুবিধা মিলবে, সেখানেই আমরা চুক্তির দিকে এগব। আরবের দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে আলোচনা প্রায় শেষের পথে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রপ্তানি বাড়াতে কেন্দ্র সব রকম উদ্যোগ নিয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দাবি করেন, চলতি বছরে যে ৬৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তা সম্ভব হবে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাখা হয়েছে।
এদিকে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ন’ মাসে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়ে গিয়েছে। বাকিটুকুও আগামী মার্চের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পীযূষ গোয়েল। পরিষেবা শিল্পের ক্ষেত্রে আরও একটু উদ্যোগ নিলে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।