ভোটের আগে কৃষকদের মন জয় করতেই বাজেটে পিএম সন্মান নিধিতে বাড়তে পারে অনুদান
২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে প্রধানমন্ত্রী বিগত পাঁচ বছর ধরে প্রচার করে এসেছেন। সেটা হয়নি। সামনে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। কৃষি আইন ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের বিপুল অংশের কৃষক ভোটব্যাঙ্ক কেন্দ্রীয় সরকারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় কৃষকদের মন পেতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণেই এবার বাজেট অনেকটাই হতে চলেছে কৃষি ও কৃষকমুখী। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পে প্রদেয় বার্ষিক আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হতে পারে। এখন দেওয়া হয় বছরে ৬ হাজার টাকা। বছরে তিনটি কিস্তিতে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠানো হয়। গত বছরই সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল এই অনুদান বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হোক। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা এবারের বাজেটে।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের সময়ই সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে এমএসপি নিয়ে। বাজেটে এমএসপি সংক্রান্ত স্থায়ী প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা। ওই প্যানেলই দেশজুড়ে সমীক্ষা করে সুপারিশ করবে কবে কতটা এমএসপি নির্ধারিত হবে। যদিও কৃষকরা চাইছে কোনও কমিটি কিংবা প্যানেল নয়। সরকার যে এমএসপি দিতে বাধ্য থাকবে, এরকম আইন করা হোক সরাসরি। সেই দাবি পূরণ না হলে, কৃষকরা যে আবার আন্দোলনে ফিরে যাবে, এরকম হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তাই বাজেটে এমএসপি প্যানেল ঘোষণা করা হলেও কৃষকদের কতটা মন জয় করা যাবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।
কৃষিপণ্য রপ্তানি নিয়ে এবার বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার কথা ভাবছে অর্থমন্ত্রক। যাতে শুধুই দেশীয় মার্কেট নয়, সরাসরি বিদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানির সুবিধার আর্থিক সুফল কৃষকরা পেতে পারে এরকম একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি নতুন প্রকল্প আনার কথাও ভাবা হয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন করা হলে দেওয়া হবে প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ। কৃষিঋণে সুদের ভরতুকি এবার বাড়ানো হবে। একইভাবে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, কৃষি ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৮ লক্ষ কোটি টাকা করা হতে পারে। পাশাপাশি বিশেষ কিছু শর্তের ভিত্তিতে ঋণ মকুব প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে